অঞ্জু এবং নাসরুল্লার এই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ছবি: টুইটার।
নিজের সব দাবিকে ‘ভুল’ প্রমাণিত করে শেষমেশ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বাসিন্দা তথা ফেসবুক বন্ধু নাসরুল্লাকে বিয়ে করলেন ভারতীয় বধূ অঞ্জু। শুধু তাই-ই নয়, ধর্ম পরিবর্তন করে আইনি প্রক্রিয়া মেনে নাসরুল্লাকে বিয়ে করেছেন রাজস্থানের অলওয়ায়ের এই বধূ। এমনই দাবি করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘আজ ইংলিশ টিভি’।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ম পরিবর্তনের পর অঞ্জুর নতুন নাম হয়েছে ফতিমা। আপার দির জেলার আদালতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে সারেন এই প্রেমিকযুগল। তার পর একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করেন তাঁরা। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে একসঙ্গে ঘুরছেন যুগল। একটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের। সেখানে দু’জনকে পাশাপাশি বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে।
মালাকান্দ ডিভিশন ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল নাসির মেহমুদ সাট্টি অঞ্জু এবং নাসরুল্লার বিয়ের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন। তিনি এটাও জানান যে, অঞ্জু ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। নিরাপত্তার কারণে অঞ্জুকে কড়া পুলিশি পাহারায় জেলা আদালত থেকে নতুন শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাকিস্তানে যাওয়ার পর থেকে অঞ্জুকে নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। তাঁর সঙ্গে সীমা হায়দরের তুলনা টানা হয়। তাঁকে নিয়ে যখন দু’দেশে তোলপাড় চলছে, অঞ্জু দাবি করেন, তিনি পাকিস্তানের বধূ সীমা হায়দরের মতো নন। তাঁর সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না। শুধু তাই-ই নয়, অঞ্জু এটাও দাবি করেন, নাসরুল্লার সঙ্গে তাঁর প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই। খুব শীঘ্রই ভারতে ফিরবেন।
Video: Indian girl #Anju with her Pakistani friend Nasrullah Khan in his home district Dir pic.twitter.com/jJJaCmxq1U
— Naimat Khan (@NKMalazai) July 25, 2023
অন্য দিকে, নাসরুল্লাও সোমবার এক সংবাদমাধ্যমে জোর গলায় দাবি করেন, অঞ্জুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনাও নেই। ২০ অগস্ট অঞ্জুর ভিসা শেষ হলেই ভারতে ফিরবে। এমনকি পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে হলফনামা দিয়েও সে কথা জানিয়েছিলেন। সেই হলফনামা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাক সংবাদমাধ্যম ‘আজ ইংলিশ টিভি’-তে দাবি করা হয়েছে, ধর্ম পরিবর্তন করে নাসরুল্লাকে বিয়ে করেছেন অঞ্জু।
গত ২১ জুন রাজস্থানের অলওয়ার থেকে পঞ্জাবের অমৃতসর হয়ে লাহোরে পৌঁছন অঞ্জু। বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন জয়পুরে যাচ্ছি। পাকিস্তানে যাওয়ার আইনি নথিপত্র নিয়েই সেখানে হাজির হয়েছিলেন অঞ্জু। তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তান রয়েছে। ঘটনাচক্রে, পাক বধূ সীমা হায়দর এবং উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা সচিন মীণার প্রেমকাহিনি নিয়ে তোলপাড় দুই দেশ। তার মধ্যেই অঞ্জুর এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে।
নেপাল হয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন সীমা। তার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তার আগে নেপালে প্রেমিক সচিনের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন কাটিয়েছিলেন। তার পর উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরায় চার সন্তানকে নিয়ে সচিনের বাড়িতে হাজির হন। সীমা নিয়ে এখনও জট খুলতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গোয়েন্দারাও সীমার সম্পর্কে নিরন্তর তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। সীমা পাক গুপ্তচর না কি শুধুমাত্র প্রেমের টানে ভারতে এসেছেন, তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy