ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি বসতে চান পোপ ফ্রান্সিস। যেতে চান মস্কোয়। কিন্তু এই মর্মে তাঁর বার্তা ক্রেমলিনে পৌঁছলেও কোনও উত্তর আসেনি। এ বার পোপ নিজেই সেই কথা জানিয়ে বলেছেন, দোরগোড়ায় নেটোর এসে পড়াটাই হয়তো রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণ।
ইতালির একটি সংবাদপত্রকে পোপ বলেছেন, ‘‘আমার এখন কিভে যাওয়া উচিত নয়। প্রথমে মস্কো গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে হবে। যুদ্ধের দিন কুড়ির মাথায় পুতিনকে বার্তা পাঠিয়েছিলাম। এখনও জবাব আসেনি। আমরা বিষয়টিতে জোর দিয়ে চলেছি। যদিও আশঙ্কা, পুতিন এই সময়ে এই বৈঠকটা করতে চাইবেন না— অথবা বলা যায়, এখন বৈঠকে বসতে পারবেন না।’’ ইউক্রেনের যুদ্ধের সমালোচনা করে পোপ বার বার শান্তির বার্তা দিলেও এত দিন তিনি পুতিনের নাম করেননি। এ বার পুতিনের সঙ্গেই তাঁর পৃষ্ঠপোষক তথা রুশ অর্থোডক্স গির্জার প্রধান পেট্রিয়ার্ক কিরিলের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান। কিরিল ইতিমধ্যেই পুতিনের ‘সামরিক অভিযানকে’ সমর্থন করেছেন। পোপ জানান, গত মার্চের ভিডিয়ো-সাক্ষাতে কিরিলকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাজনীতি নয়, আমাদের জিশুর ভাষায় কথা বলা উচিত।’’
ইউক্রেনের মারিয়ুপোলের আজ়ভস্টল ইস্পাত কারখানা এত দিন শুধু অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের খবর, গত কাল সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া ১২৭ জন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে প্রথম কনভয় জ়াপোরিজিয়া শহরে পৌঁছেছে। আর আজই রুশ বাহিনী ওই কারখানার দখল নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে ইউক্রেনের আজ়ভ রেজিমেন্টের কমান্ডার জানিয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে যে সব অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছিল, তার একটি বড় অংশই আজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, ওডেসা শহরের কাছে একটি বিমানঘাঁটির হ্যাঙারে ‘বেরাকটার টিবি-২’ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করে রেখেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। সেখানেই আজ রাশিয়ার হাই-প্রিসিশন ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ওই হ্যাঙার ছাড়াও ইউক্রেনীয় বাহিনীর এক বা একাধিক কমান্ড সেন্টার, একটি এস-৩০০ বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে বলে রাশিয়ার দাবি।
তবে ভরসা জুগিয়েছেন বরিস জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আজ জানান, ইউক্রেনকে আরও ৩৭.৬০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেবেন তিনি। যুদ্ধ শুরুর পরে প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রনেতা হিসেবে আজ ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে ইউক্রেনের পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেন জনসন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের লড়াইয়ের সঙ্গে কিভের প্রতিরোধের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেন জিতবে। মুক্ত হবে।’’ ইউক্রেনকে বৈদ্যুতিন যুদ্ধ সরঞ্জাম ও অত্যাধুনিক রেডার ব্যবস্থা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ব্রিটেন।
আজ একটি আমেরিকান সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য প্রেসিডেন্ট পদ থেকে কিছু দিনের জন্য অব্যাহতি নিতে পারেন পুতিন। রাশিয়ার এক প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তার চালানো টেলিগ্রাম চ্যানেলের খবরের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকেরা পুতিনকে অস্ত্রোপচার করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে ওঠা পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব অস্থায়ী ভাবে তিনি দিতে পারেন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভকে। সাম্প্রতিক কালে পুতিনের ‘কিছুটা শীর্ণ চেহারা’, শারীরিক অস্বস্তিতে ভোগার মতো আচরণ এমনকি পার্কিনসন্সের সম্ভাব্য লক্ষণ নিয়েও জল্পনা হয়েছে। ক্যানসার সংক্রান্ত খবরের প্রেক্ষিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কার্বি অবশ্য বলেছেন, এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনও তথ্য তাঁদের হাতে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy