লাহোরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’।
কলেজের ভিতর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের লাহোরে। ঘটনার জেরে সোমবার থেকে দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে পাক পঞ্জাব প্রদেশের রাজধানীতে। আরজি করের মতোই সেখানেও ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন পডুয়ারা। আন্দোলনে শামিল হয়েছে নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলগুলিও।
অভিযোগ, গত শনিবার হাফিজ সেন্টার পঞ্জাব কলেজ চত্বরেই একটি ফাঁকা ঘরে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী ধর্ষণ করে এক ছাত্রীকে। ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিক্ষোভ। রবিবার পুলিশ অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পড়ুয়া এবং জনতার ক্ষোভ তাতে থামেনি। সোমবার থেকে লাহোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আহত হন প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সংগঠন ‘প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস কালেক্টিভ’ মঙ্গলবার থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
লাহোর পুলিশের দাবি, নির্যাতিতা তরুণী বা তাঁর পরিবারের সদস্যেরা কেউ সামনে আসতে চাইছেন না। ফলে ওই ঘটনার এফআইআর নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস) ফয়সাল কামরান বলেন, ‘‘তদন্তের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের যোগাযোগ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ লাহোরের ওই কলেজের কর্তৃপক্ষ ঘটনার পরে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলেন বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এ প্রসঙ্গে পঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী রানা সিকন্দর হায়াত জানিয়েছেন, ভিডিয়ো ফুটেজ মুছে ফেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy