ব্রিটেনের ছোট রাজপুত্র হ্যারি। —ফাইল চিত্র।
বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেয়েই সুদূর ক্যালিফোর্নিয়া থেকে লন্ডনে ছুটে এসেছিলেন ছোট ছেলে। অসুস্থ বাবার সঙ্গে আধ ঘণ্টা কাটিয়ে ফের উড়ে যান স্ত্রী-ছেলেমেয়ের কাছে। ব্রিটেনের ছোট রাজপুত্র হ্যারির ২৬ ঘণ্টার এই ঝটিকা সফরকে অনেকে দায়িত্বশীলতা বলে বাহবা দিলেও সেটিকে মোটেই স্বাভাবিক বলে দেখছে না রাজপরিবার ঘনিষ্ঠদের একাংশ। তাদের মতে, হ্যারির এই কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হয়েছেন যুবরাজ উইলিয়াম। রাজপরিবারের জীবনীকার তথা ম্যাজেস্টি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ইনগ্রিড সেওয়ার্ডের মতে, এটি হ্যারির ‘জনমোহিনী চমক’।
এই সপ্তাহের গোড়ায় রাজবাড়ির তরফে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, ভাই, বোন এবং দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারিকে ব্যক্তিগত ভাবে ডেকে ও ফোন করে নিজের অসুস্থতার কথা জানান চার্লস। সূত্রের খবর, বাবার সঙ্গে ফোনালাপের পরেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের উড়ানে লন্ডনে পৌঁছন হ্যারি। ক্ল্যারেন্স হাউসে দেখা করেন চার্লস ও ক্যামিলার সঙ্গে। স্ত্রী মেগানের আসার জল্পনা ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি। হ্যারির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, উইলিয়ামের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন হ্যারি। দাদা এক বার ডাকলেই তিনি সাড়া দিতেন।
তবে উইলিয়াম যে সে বিষয়ে কোনও ভাবেই আগ্রহী ছিলেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে যুবরাজের শিবির। তাদের মতে, যে ভাবে হ্যারি তাঁর আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’-এ দাদা এবং বৌদি ক্যাথরিনের মানহানি করেছেন, দোষারোপ করেছেন, তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ উইলিয়াম। এ বিষয়ে ক্ষমাও চাননি হ্যারি। ফলে তাঁর সঙ্গে দেখা করা বা আলোচনার প্রশ্নও ওঠে না। শুধু তাই নয়, যে বাবার বিরুদ্ধে এক সময় পক্ষপাতিত্ব ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলেছিলেন হ্যারি, তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে এ ভাবে হঠাৎ দৌড়ে আসা খানিকটা চমক ও হঠকারি সিদ্ধান্ত, বলছেন ইনগ্রিড। তাঁর মতে, চার্লসের অসুস্থতার খবরটি রাজবাড়ির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করার কয়েক দিন পর পর্যন্ত অপেক্ষা করে হ্যারির আসা উচিত ছিল।
তবে অনুরাগীদের চোখে হ্যারি এমনই। ছকভাঙা এবং আবেগপ্রবণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy