৮ জানুয়ারি প্রকাশিত হচ্ছে ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক দিন বাদেই প্রকাশিত হবে ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। তার আগে রাজকুমার জানালেন, বাবা ও দাদাকে ‘ফিরে পেতে’ চান তিনি। কিন্তু অন্য দিক থেকে সম্পর্ক মেরামতের জন্য বিন্দুমাত্র সাড়া পাচ্ছেন না। বাকিংহামের বাসিন্দারা তাঁর সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন বলেও দাবি করেছেন চার্লস-ডায়ানার ছোট ছেলে। বাকিংহামের তরফ থেকে অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
হ্যারির বাবা, অর্থাৎ ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং দাদা, যুবরাজ উইলিয়ামের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্ক বহু দিন ধরেই তলানিতে। ঠাকুমা রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের মৃত্যুর পরে তাঁদের সম্পর্কের ফাটল আরও বেড়েছে। বছরের শেষে তাঁদের নিয়ে তৈরি একটি ওটিটি-তথ্যচিত্রে হ্যারি সরাসরি দাবি করেছিলেন, রাজপরিবারের চাপেই তাঁর স্ত্রী মেগান সম্পর্কে ভুল খবর প্রকাশ করত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। সেই প্রসঙ্গে হ্যারি এই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমার ও আমার স্ত্রীর সম্পর্কে নানা গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিয়ে আমাদের মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করা হত। তা ছাড়া, আমাদের সম্পর্কে প্রচুর ভুয়ো খবরও সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত। বাকিংহামেরই কয়েক জন বাসিন্দা এটা নিয়ম করে করতেন। এটা বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী!’’
হ্যারি সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারের নীতি হল— ‘নেভার কমপ্লেন, নেভার এক্সপ্লেন’। অর্থাৎ কোনও বিষয় নিয়ে অনুযোগ জানাবে না, আবার কোনও কিছু ব্যাখ্যা করে বলারও দরকার নেই। কিন্তু কাজের সময়ে এই নীতি মানা হত না। আমার স্ত্রী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও আমাদের বলা হয়েছিল, মুখ বন্ধ রাখতে। রাজপরিবারও কোনও বিবৃতি দিয়ে কখনও আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি।’’
৮ জানুয়ারি প্রকাশিত হচ্ছে হ্যারির আত্মজীবনী। তার দু’দিন আগে, ৬ জানুয়ারি, ব্রিটেনের দু’টি টিভি চ্যানেলে হ্যারির দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে। ‘বিস্ফোরক’ সেই সাক্ষাৎকার দু’টিরই আগাম ঝলক প্রকাশিত হয়েছে আজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy