করতারপুর করিডরের উদ্বোধনে মনমোহন সিংহের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। গুরুদাসপুরে। পিটিআই
ডেরা বাবা নানক (পঞ্জাব) ও করতারপুর, ৯ নভেম্বর: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কার্যত তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে আজ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর মুখে সৌহার্দ্যের বার্তা। সৌজন্যে করতারপুর করিডর। বহু প্রতীক্ষিত এই করিডর আজ চালু হল। সীমান্তের দুই প্রান্তে জোড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আড়ম্বরের ঘাটতি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে তাঁরা যে বদ্ধপরিকর, করতারপুর করিডর তার প্রমাণ।
সেই সঙ্গে কাশ্মীর প্রসঙ্গও তুললেন ইমরান। বললেন, ‘‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হলে দু’দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথ সুগম হবে। কাশ্মীরবাসীর প্রতি ন্যায় করুক ভারত।’’
করতারপুরের দরবার সাহিব এবং পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানককে যুক্ত করেছে সাড়ে চার কিলোমিটারের করিডর। প্রথম দফায় পাঁচশোর বেশি পুণ্যার্থীর একটি দল আজ ভারত থেকে দরবার সাহিবে গিয়েছে। করিডরের উদ্বোধন ও পুণ্যার্থীদের যাত্রার সূচনা করে মোদী বলেন, ‘‘ভারতীয়দের আবেগকে সম্মান জানানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ধন্যবাদ।’’ করিডর উদ্বোধনের আগে বের সাহিব গুরুদ্বারে প্রার্থনা করেন মোদী।
করতারপুর করিডর দ্রুত নির্মাণের জন্য পাকিস্তানের শ্রমিকদেরও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, করিডরকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘এই পুণ্যভূমিতে এসে আমি ধন্য... ধর্মাচরণের সময় আপনাদের যে অনুভূতি হয়, আজ আমার তাই হচ্ছে।’’ করিডরের ভারতের দিকের অংশে তৈরি পুণ্যার্থীদের জন্য প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধন করেন মোদী। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। হাত জোড় করে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রাক্তন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধনের পর একটি ‘লঙ্গর’-এ মধ্যাহ্নভোজ সারেন মোদী।
করিডর উদ্বোধনের পর ভারত থেকে যে পুণ্যার্থীর দলটি পাকিস্তানে গিয়েছে, সেই দলে রয়েছেন মনমোহন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ, কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোৎ সিংহ সিধু, বিজেপি সাংসদ সানি দেওল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরি, হরসিমরত কৌরেরা। ভারতীয় পুণ্যার্থীদের দলটি করতারপুরে পৌঁছনোর পর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানেই মনমোহনের সঙ্গে দেখা হয় ইমরানের। মনমোহন বলেন, ‘‘এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy