প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়াদের যৌনশিক্ষায় পর্নোগ্রাফিকে বিষয় হিসেবে ঢোকানোর পক্ষে সওয়াল করলেন আমেরিকার পর্ন-তারকা অ্যালিক্স লিংক্স। তাঁর মতে, পর্ন নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে সমাজে ভ্রান্ত ধারণাও কম নয়। অনেকে আবার এই ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সরব। তবে এ নিয়ে লুকোছাপা করাটা মোটেও কাজের কথা নয়। তা বাস্তবের থেকে মুখ ফেরানোর সমতুল্য হবে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে নিজের দাবির পক্ষে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন অ্যালিক্স। প্রায় এক দশক ধরে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা ওই অভিনেতার মতে, ‘‘পর্ন দেখা নিয়ে মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। কিশোর-কিশোরীরা পর্ন দেখলেই নাকি বিপথে চালিত হবে। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির জেরেই নাকি খুনি, ধর্ষকরা উৎসাহিত হয়। এমনকি, অনেকে তো আইন জারি করে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তালা দিতে চাইছেন। তবে স্বীকার করুন না না-ই করুন, ওই পড়ুয়াদের বহু অভিভাবকও পর্ন ছবি বা ভিডিয়োতে আসক্ত। এটি যে রোজকার জীবনে বিনোদনের অঙ্গ এবং তা যে স্বাভাবিক, সে কথা বোঝা উচিত সকলের। না হলে বালিতে মুখ গুঁজে থাকার মতো হবে।’’
পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তুকে যৌনশিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির দাবি তোলা অ্যালিক্সের মতে, ‘‘পর্নোগ্রাফিক বিষয় নিয়ে যৌনশিক্ষায় খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত। আর পাঁচটা সিনেমা বা ভিডিয়ো গেমসের মতো এটিও যে একটি কাল্পনিক বিনোদনের জগৎ, বাস্তবে তা আলোচিত হয় না। সে কথা সকলের বোঝা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যৌন সম্পর্কের আগে সঙ্গীর সম্মতিও যে জরুরি, তা বোঝাতেও পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তুর উপর এই ‘নিষিদ্ধ’ তকমা হঠানো প্রয়োজন।’’
অ্যালিক্সের এই দাবি নিয়ে নেটমাধ্যমে শোরগোল পড়লেও তা আদৌ কার্যকরী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বেশির ভাগ নেটাগরিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy