দোকানে ঢুকে সবার অজান্তেই একটা পুতুল তুলে নিয়েছিল চার বছরের মেয়ে। বেরোনোর পরে বাবা-মা ব্যাপারটা সবে টের পেয়েছেন, এমন সময়েই হাজির হল পুলিশ। অশ্রাব্য গালিগালাজ, মারধরের পরে পিস্তল তাক করল সেই শিশুর দিকেও। ধাক্কা মারল বাচ্চা কোলে কৃষ্ণাঙ্গ মাকে। বলল, গোটা পরিবারকেই গুলি করে মারবে তারা।
আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অ্যারিজ়োনার ফিনিক্স শহরের দম্পতি ড্রাভন এমস এবং লেশা হারপার। ফিনিক্স পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়ে এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন তাঁরা।
গত ২৯ মে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী এবং চার ও এক বছরের দুই শিশুকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ড্রাভন। তখনই ওই দোকানে যাওয়া এবং দোকান থেকে মেয়ের পুতুল তুলে নেওয়া। দাম মেটানো হয়নি, কারণ বাবা-মা কিছু বুঝতেই পারেননি। বুঝেছিলেন বেরোনোর পরে। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁদের ধাওয়া করেছে পুলিশ। ধরেও ফেলেছে।
রাস্তায় দাঁড়ানো এক ব্যক্তি গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, পিস্তল তাক করে ড্রাভনকে গাড়ি থেকে নামাচ্ছে পুলিশ। টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের গাড়ির দিকে। লাথি মারছে, হাতকড়া পরাচ্ছে। সঙ্গে গালিগালাজ। ক্ষমা চেয়েও নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না দুই সন্তানের পিতা।
ওই অফিসারের সহকারী তখনও পিস্তল তাক করে রয়েছে গাড়ির দিকে। হারপারের গলা শোনা যাচ্ছে, ‘‘দয়া করে আমার বাচ্চাদের দিকে নিশানা করবেন না স্যর। আমি গর্ভবতী।’’ সে কথা কানেই তুলছে না পুলিশ। হারপার একটি শিশুকে কোলে নিয়ে গাড়ি থেকে নামলে পুলিশ বলছে, ‘‘বাচ্চাটাকে নামিয়ে রাখো।’’ হারপার কেঁদে বলছেন, ‘‘ও হাঁটতে পারে না, বোঝার চেষ্টা করুন।’’ তখনই তাঁকে ধাক্কা মারছে পুলিশ। যাঁরা ভিডিয়ো করছিলেন, সেই দু’জনের গলা শোনা যাচ্ছে এ বার। পুলিশদের তাঁরা বলছেন, ‘‘কী হচ্ছে, আপনারা
শান্ত হোন স্যর।’’ পুলিশ অবশ্য নির্বিকার। দেখা যাচ্ছে, গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে হারপারকেও টেনে নিয়ে যাচ্ছে তারা। হাতকড়া পরাচ্ছে তাঁকেও। তার আগে নাকি অন্য এক মহিলার কোলে সন্তানকে দিয়ে দিয়েছিলেন হারপার।
কী ভাবে তাঁরা ছাড়া পেলেন, স্পষ্ট নয়। ভিডিয়োটি পুলিশই প্রকাশ করেছে। ইউটিউবেও রয়েছে সেটি। ফিনিক্স পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবির পাশাপাশি হুমকি, অবৈধ ভাবে আটক, ভুয়ো গ্রেফতারি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্ত দম্পতি। বিষয়টিকে গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy