প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বারের জন্য মিশর সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তিন দিনের আমেরিকা সফর শেষ করে শনিবারই মিশরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে কায়রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে মোদীর বিমান। একই দিনে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাডবাউলির সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। বৈঠক শেষে মিশরে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি।
১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম মিশরে যাচ্ছেন কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রপ্রধান। রবিবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ্ আল সিসির সঙ্গে বৈঠকে করবেন মোদী। ওই দিনই তাঁর দিল্লির বিমান ধরার কথা। উল্লেখ্য যে, চলতি বছর দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। স্বাধীনতার পর জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সময় থেকেই মিশরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরে জি২০ গোষ্ঠীর একটি বৈঠকে তুরস্ক, চিন, পাকিস্তানের সঙ্গেই গরহাজির থাকে মিশর। এই আবহেই মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি।
নানা কারণে মোদীর এই মিশর সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ঘোষণা করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। মিশরের হয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লড়া ভারতীয় সৈন্যদের সমাধিস্থলেও শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, মোদীর এই সফরেই সুয়েজ ক্যানালের তীরবর্তী ‘সুয়েজ ক্যানাল ইকনমিক জ়োন’-এর একাংশ ভারতীয় উদ্যোগপতিদের হাতে তুলে দিতে পারে মিশর প্রশাসন।
বাণিজ্যিক দিক থেকে বটেই, ভূকৌশলগত দিক থেকেও সুয়েজ খালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে ভারত মহাসাগর এবং লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী এই খালের মাধ্যমেই প্রতি দিন ৫ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল জলপথে ভারতে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy