জো বাইডেনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
জুনের তৃতীয় সফরে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৪ জুন ‘লিবার্টি’র দেশে পা রাখবেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রশাসনিক প্রধান। মোদীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর স্ত্রী, আমেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
বুধবার মোদী সরকারের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রযুক্তি, বাণিজ্য, শিল্পের মতো ক্ষেত্র ছাড়াও অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার জন্য দুই রাষ্ট্রপ্রধান আলোচনায় বসতে চলেছেন। আমেরিকার তরফেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কের যে গভীরতা তাকে সর্বদা গুরুত্ব দিতে চায় ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ, সুরক্ষিত রাখার জন্য দুই দেশই দায়বদ্ধ। তা ছাড়াও প্রতিরক্ষা, পরিবেশ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কৌশলগত বোঝাপড়া রয়েছে দুই দেশের। মোদীর আমেরিকা সফর এই বিষয়গুলিকে আরও জোরদার করবে বলে দাবি করেছে বাইডেন প্রশাসন।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তো বটেই, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমশ প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন। তা ছাড়া সীমান্তেও চিনের ভূমিকায় অস্বস্তি রয়েছে নয়াদিল্লির। এই আবহে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ককে আরও জোরদার করার পথেই হাঁটবে মোদী সরকার। অন্য দিকে চিনের প্রভাব রুখতে ভারত নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে ওয়াশিংটনেরও। এর আগে ২০২১ সালে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যোগ দিতে আমেরিকা গিয়েছিলেন মোদী। সেটা অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ সফর ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy