Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Plane Crash

করাচিতে লোকালয়ে ভেঙে পড়ল যাত্রিবাহী বিমান, শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা

এ দিন সকালে লাহৌর থেকে রওনা দেওয়ার কিছু ক্ষণ পরই করাচি বিমানবন্দর সংলগ্ন জিনা গার্ডেন এলাকার কাছে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি।

চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এএফপি।

চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
করাচি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ১৬:১৭
Share: Save:

প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে করাচির কাছে ভেঙে পড়ল পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান (পিআইএ) সংস্থার একটি বিমান। শুক্রবার সকালে ৯১ জন যাত্রী ও ৮ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে করাচি বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে এ-৩২০ বিমানটি। হতাহতের সংখ্যা ঠিক কত, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে যেহেতু লোকালয়ে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, তাই শতাধিক প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা।

দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, জনবহুল এলাকার মধ্যে বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চার পাশ। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। শাকিল আহমেদ নামের প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানান, প্রথমে একটি মোবাইল টাওয়ারে ধাক্কা মারে বিমানটি। তার পর পাশাপাশি অবস্থিত কয়েকটি বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে।

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ১টায় লাহৌর থেকে করাচির উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। দুপুর ২টো বেজে ৪৫ মিনিটে করাচি পৌঁছনোর কথা ছিল সেটির। কিন্তু দুপুর ২টো বেজে ৩৭ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের। তার কিছু ক্ষণ পরই দুর্ঘটনা ঘটে। করাচি বিমানবন্দর সংলগ্ন মডেল কলোনির কাছে জিনা গার্ডেন এলাকায় লোকালয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ার খবর আসে। তাতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরে যায়।

আরও পড়ুন: বাংলার জন্য হাজার কোটি ঘোষণা মোদীর, প্যাকেজ এখনও স্পষ্ট নয়: মমতা​

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন উদ্ধারকর্মীরাও। পাক ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের তরফে জানানো হয়েছে, পাক সেনার কুইক রেসপন্স ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির মতো দেহ উদ্ধার করা হয়। আশেপাশের এলাকা থেকে ২০-২৫ জন আহতকে উদ্ধার কের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। করাচির সমস্ত হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সে দেশের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রক।

এ দিন যে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে, সেটি ১০-১২ বছর আগে চিন থেকে বিমানটি পিআইএ-র হাতে উঠেছিল বলে জানা গিয়েছে। বিমানের দু’টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়াতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পিআইএ-র এক আধিকারিক। পাক সংবাদমাধ্যমে দুর্ঘটনার আগে বিমানের ককপিট থেকে পাইলট ও কন্ট্রোল রুমের কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং সামনে এসেছে। তাতে দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গিয়ছে, এমনটা বলতে শোনা গিয়েছে পাইলটকে।

আরও পড়ুন: এখনও কেমন লন্ডভন্ড চেহারা কলকাতার, দেখে নিন তার ছবি​

এর আগে, গত বছরই পিআইএ-র একটি বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল। গিলগিট বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে চাকা পিছলে রানওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল বিমানটি। তাতে কোনও প্রাণহানি হয়নি যদিও, তবে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার আগে, ২০১৬-র ৭ ডিসেম্বর চিত্রাল থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে ৪৮ জন যাত্রী এবং কয়েক জন বিমানকর্মী নিয়ে ভেঙে পড়ে পিকে-৬৬১ বিমান। সে বার দুর্ঘটনা থেকে কেউই রক্ষা পায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Plane Crash Pakistan Karachi PIA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy