Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Israel-Hamas Conflict

খিদের জ্বালা মেটাতে পশুর খাবার উত্তর গাজ়ায়

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, গাজ়া স্ট্রিপের উত্তরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির ত্রাণের ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাচ্চারা খালি পেটে দিন কাটাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, মারাত্মক অপুষ্টিতেভুগছে শিশুরা।

An image of Food

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৫
Share: Save:

চার মাস কেটে গিয়েছে। হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধ অব্যাহত। সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ দেখেছে উত্তর গাজ়া। জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে উত্তরের বাসিন্দাদের বন্দুকের নলেরসামনে রেখে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইজ়রায়েলি বাহিনী। পরে অবশ্য দক্ষিণেও হামলা শুরু করে তারা। কিন্তু সে সময়ে বাহিনীরনজর এড়িয়ে ঘরবাড়ি-মাটিআঁকড়ে উত্তর গাজ়া স্ট্রিপে থেকে গিয়েছিল অসংখ্য মানুষ। ইজ়রায়েল শুধু আভাস দিয়েছিল, উত্তর গাজ়া ‘মৃত্যুপুরী’ হতে চলেছে। বর্তমানে খাবার নেই, জল নেই। গৃহপালিত পশুদের জন্য বাঁচিয়ে রাখা শস্যদানাটুকু শেষ ভরসা। তা-ই পেষাই করে খাচ্ছেন উত্তরে থেকে যাওয়া লাখো মানুষ। সেই সম্বলও আর বেশি দিন নেই। জলের সন্ধানে মাটি খুঁড়তে হচ্ছে। আশঙ্কা, এ ভাবে চললে, ইজ়রায়েলের বোমা-গুলি নয়, স্রেফ না খেতে পেয়ে অসহায় অবস্থায় প্রাণ হারাবেন উত্তর গাজ়ায় ‘বন্দি’ লাখো মানুষ।

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, গাজ়া স্ট্রিপের উত্তরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির ত্রাণের ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাচ্চারা খালি পেটে দিন কাটাচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, মারাত্মক অপুষ্টিতেভুগছে শিশুরা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাব, অন্তত ৩ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর দোরগোড়ায়। দুর্ভিক্ষ আসন্ন।ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনী এক মুখপাত্র, যিনি ত্রাণের বিষয়েও দেখভাল করছেন, এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, ‘‘গাজ়ায় কেউ না খেতে পেয়ে নেই।’’ উত্তর গাজ়ায় ত্রাণ ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। যদিও সংবাদমাধ্যম মারফত যেটুকু খবর বাইরে আসছে, তাতে স্পষ্ট খাদ্যসঙ্কট। মেহমুদ শালাবি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী কর্মী জানিয়েছেন, গৃহপালিত পশুদের খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। গাজ়ার বেট লাহিয়ায় কাজ করেছেন মেহমুদ। তিনি বলেন, ‘‘এখন পশুদের জন্য থাকা শস্যদানা-বিচুলিও পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE