—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কারও মাথায় চেয়ার। কারও হাতে ড্রয়ার। কেউ বা অটোর মাথায় আস্ত একটা সোফা চাপিয়ে নিয়ে এসেছেন রাজশাহীর নগর ভবনে। সোমবার সেখান থেকেই এ সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অনেকেই এ বার ফিরিয়ে দিলেন সে সব জিনিসপত্র। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা ‘প্রথম আলো’।
নগর ভবনে বৃহস্পতিবার জিনিসপত্র ফেরত দিতে এসেছিলেন রিফাত নামে এক ছাত্র। তিনি ‘প্রথম আলো’-কে জানান, গত সোমবার নগর ভবনে আগুন দেওয়ার পর তার পাশেই লুট করা কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করছিলেন কয়েক জন। বেশ কয়েক জন পড়ুয়া তাঁদের বাধা দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। বুধবার পড়ুয়ারা জানতে পারেন, ওই সব লুটের জিনিস ফেরত নিচ্ছে জেলার সদর দফতর নগর ভবন। তার পরেই তাঁরা সে সব জিনিস সেখানে পৌঁছে দিয়েছেন।
রিফাত একা নন। বহু পড়ুয়া, আন্দোলনকারী লুটের জিনিস ফিরিয়েছেন নগর ভবনে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, ভুল বুঝতে পেরেই এগুলো ফিরিয়েছেন। সোমবার আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই তাঁর বাসস্থান গণভবনে চলে লুট। সেই ছায়া দেখা যায় জেলায় জেলায়। সেখানেও সরকারি দফতর, থানায় লুটপাট চলে। কোথাও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে। ঢাকায় গণভবন থেকে লুট করা জিনিসপত্রও বহু মানুষজন ফিরিয়েছেন। সেখান থেকে আসবাব, শাড়ি, বাসনপত্রের পাশাপাশি হাসিনার পোষ্য বিড়াল, কুকুর, জলাশয়ের হাঁস, মাছ, ছাগল, সবই লুট করা হয়েছিল। সে সব পোষ্যও অনেকে ফেরত দিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সদস্যেরা বার বার লুট বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। লুটের জিনিস ফেরানোরও আবেদন করেছেন। সিলেটের একটি মসজিদে মাইকে প্রচার করে লুট করা সরকারি জিনিসপত্র ফেরানোর আবেদন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy