E-Paper

যুদ্ধবিরতির আশা গাজ়ায়, কথা চলছে

গাজ়ায় হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলিদের মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। বাকিদের নিরাপদে ইজ়রায়েলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে উত্তাল দেশবাসী।

যুদ্ধে বিধ্বস্ত পরিস্থিতি।

যুদ্ধে বিধ্বস্ত পরিস্থিতি। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৩
Share
Save

ক্ষীণ আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন প্যালেস্টাইনিরা। আশায় বুক বাঁধছেন ইজ়রায়েলের মানুষও। শোনা যাচ্ছে, প্যারিসে এক গোপন বৈঠকে বহু দর কষাকষির পরে সহমত হয়েছে দু’পক্ষ। ইজ়রায়েল জানিয়েছে, গুপ্তচর বাহিনীর নেতা, কূটনীতিক, সেনা আধিকারিক, হামাস নেতা, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে গাজ়া স্ট্রিপে। সে ক্ষেত্রে ফের বন্দি বিনিময় শুরু হবে। হামাসের ডেরায় এখনও বন্দি রয়েছেন শতাধিক ইজ়রায়েলি। হয়তো তাঁরা ঘরে ফিরবেন। তবে ইজ়রায়েলের ‘বার্তার’ সত্যতা মানতে রাজি হননি হামাসের প্রতিনিধিরা।

গত শুক্রবার প্যারিসের কোনও এক গোপন স্থানে বৈঠক হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। তাতে উপস্থিত ছিলেন ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। মিশরের গুপ্তচর বাহিনীর প্রধান আব্বাস কামেল, আমেরিকার সিআইএ-র প্রধান উইলিয়াম বার্নস, কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদের সঙ্গে তিনি পৃথক বৈঠক করেন। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘‘বন্দি বিনিময় নিয়ে যাঁরা সমঝোতার চেষ্টা করছেন, সেই মধ্যস্থতাকারীদের দায়িত্ব, কর্তৃত্ব বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে, গাজ়ায় স্থল-অভিযান শুরুর জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে আইডিএফ (ইজ়রায়েলি বাহিনী)।’’

গাজ়ায় হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলিদের মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। বাকিদের নিরাপদে ইজ়রায়েলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে উত্তাল দেশবাসী। প্রায় প্রতি দিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। ও দিকে, ইজ়রায়েলি বাহিনীর নির্দেশে দক্ষিণ গাজ়ার রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন ১৫ লক্ষ প্যালেস্টাইনি। এখন সেখানে স্থল-অভিযান শুরুর হুমকি দিচ্ছে ইজ়রায়েল। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি দু’পক্ষের জন্যই কিছুটা স্বস্তির হতে পারে।

ইজ়রায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ়াচি হানেগবি জানিয়েছেন, প্যারিস থেকে ফিরে প্রতিনিধি দল দেশের যুদ্ধ বিষয়ক বিশেষ মন্ত্রিসভায় তাদের মতামত জানিয়েছেন। হানেগবি বলেন, ‘‘এ বার ওঁরা খালি হাতে ফেরেননি। যতটুকু জানতে পারা গিয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।’’ তবে এর বেশি জানাননি তিনি। সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে সুখবর আসবে কি না। তাতে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানিয়েছেন হানেগবি। সেই থেকে মনে করা হচ্ছে, ১০ মার্চের আগেই কিছু হতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরেই হামাস-ইজ়রায়েল আলোচনা চলছে। ইজ়রায়েলের বক্তব্য, ‘অবিশ্বাস্য রকমের’ দাবিদাওয়া রাখছেন হামাস নেতারা। তাঁরা পুরোপুরি ভাবে যুদ্ধ বন্ধ চান। গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি সেনা প্রত্যাহার চান। ইজ়রায়েলের জেল থেকে প্যালেস্টাইনি বন্দিদের মুক্তি চান। এ হেন দাবিদাওয়া মানতে নারাজ ইজ়রায়েল। এ বার কোন শর্তে দু’পক্ষের রফা হল, সত্যিই হল কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ইজ়রায়েলি সংবাদপত্র ‘হারেৎজ়’-এ লেখা হয়েছে, ‘আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।’ তবে ঠিক কী কথা হয়েছে, তার উল্লেখ করেনি তারাও। হামাসের এক প্রতিনিধি অবশ্য বলেছেন, ‘‘ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমির জন্য আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Israel-Palestine Conflict Israel-Hamas Conflict gaza ceasefire

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy