দেশের সব থেকে স্বল্প মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী লিজ় ট্রাসের জমানার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, এ নিয়ে ব্রিটেনের রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে। লিজ়ের পর কনজ়ারভেটিভ দলের প্রধান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। এ বার এই দৌড়ে শামিল হলেন হাউস অফ কমন্সে দলের নেত্রী পেনি মরড্যান্ট।
এ নিয়ে টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেনি। যেখানে লিখেছেন, ‘দ্য রিয়েল মি’। হ্যাশট্যাগে উল্লেখ ‘পিএমফরপিএম’। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়ে নিজেকে ‘সাধারণ মানুষের’ এক জন বলে তুলে ধরেছেন মরড্যান্ট। তিনি বলেছেন, ‘‘কারখানা, পাবে আমিও কাজ করেছি। জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে আমি অবগত।’’ প্রসঙ্গত, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে শেষমেশ শপথ নেওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন লিজ়। এই প্রেক্ষাপটে জীবনযাপনের খরচ নিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়ে যে বার্তা দিলেন মরড্যান্ট, তা অর্থবহ।
The real me.#PM4PM pic.twitter.com/fIBawIsxNH
— Penny Mordaunt (@PennyMordaunt) October 22, 2022
আরও পড়ুন:
৪৯ বছর বয়সি মরড্যান্ট এক সময় রিয়্যালিটি টিভি তারকা ছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। বরিস জনসনের ইস্তফার পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে লিজ় ও ঋষির পরই ছিলেন মরড্যান্ট। সে সময় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লিজ়কে সমর্থন জানিয়েছিলেন মরড্যান্ট। ওই নির্বাচনের দৌড়ে ঋষিকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন লিজ়। সম্প্রতি লিজ়ের পদত্যাগের পর এক সংবাদপত্রে মরড্যান্ট লিখেছিলেন, ‘‘ব্রিটেন স্থিরতা চায়, সোপ অপেরা নয়।’’
লিজ়ের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও কনজ়ারভেটিভ দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রার্থী নির্ধারণ করতে সোমবারই ভোট দেবেন টোরি এমপিরা। তার পর দুই প্রার্থীকে ঠিক করা হবে। তাঁদের মধ্যে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই প্রক্রিয়া ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছিলেন বরিস। কিন্তু সেই সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। এখন বরিস, ঋষি আর মরড্যান্টের মধ্যে শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে কার জয় হয় সে দিকেই তাকিয়ে ব্রিটেনবাসী।