ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন ইমরান খানের দলের নেতা বলদেব কুমার। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, শিখদের উপরে অত্যাচার চলছে পড়শি দেশে। আজ নিহত পাক বিধায়ক সোরান সিংহের ছেলে অজয় দাবি করলেন, বলদেব তাঁর বাবার খুনি। মোদীর কাছে তাঁর আবেদন, বলদবেকে যেন কোনও ভাবেই আশ্রয় দেওয়া না হয় ভারতে।
১৯ বছর বয়সি অজয় সোয়াট উপত্যকায় থাকেন। একটি ভারতীয় দৈনিককে তিনি জানিয়েছেন, মোদী সব সময় সন্ত্রাসের বিরোধিতা করেন। তিনি আশা করেন, পাক সন্ত্রাস-দমন আইনে অভিযুক্ত এক জন খুনের আসামিকে আশ্রয় দেবে না মোদী সরকার। অজয় জানান, ২০১৮ সালে সন্ত্রাস দমন আদালতে বলদেব কুমার বেকসুর খালাস হলেও পেশোয়ার হাইকোর্টের রায় এখনও ঘোষণা হয়নি। এ অবস্থায় বলদেবকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।
গত মাসে বলদেব কুমার তিন মাসের ভিসা নিয়ে ভারতে আসেন। তার পরেই মোদীর দ্বারস্থ হন। জানান, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে। তাঁকে একটি খুনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন তিনি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আগেই জানিয়েছিল তাদের প্রাক্তন বিধায়ক বলদেবের ভারতে আশ্রয় নেওয়া নিয়ে দলের কোনও আপত্তি নেই। কারণ সোরান সিংহ হত্যা মামলায় বলদেবের নাম জড়ানোর পরে পিটিআই-এর সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই।
২০১৩ সালে খাইবার পাখতুনখোয়ায় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে ‘মেম্বার প্রোভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি’ (এমপিএ) হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন পিটিআই-এর সোরান সিংহ। ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত ও অন্য পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি ছিল, বলদেব এমপিএ হতে চেয়েছিলেন। সোরানকে সরাতে তিনি ১০ লাখ টাকা দিয়ে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেন। জেলে থাকাকালীনই পাক নির্বাচন কমিশন বলদেবকে এমপিএ ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে প্রমাণের অভাবে সন্ত্রাস দমনে আদালত বলদেবকে মুক্তি দেয়। কিন্তু তত দিনে তাঁর এমপিএ পদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
অজয় সিংহ বলেন, ‘‘উনি বেকসুর খালাস হওয়ার পরে আমরা ফের আদালতে আবেদন জানাই। সেই মামলা এখনও চলছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে এত কিছু বলেন। আশা করি এ ঘটনায় ভারত সঠিক দায়িত্ব পালন করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy