ভারতকে তীব্র আক্রমণ ইমরানের। —ফাইল চিত্র।
অর্ণব গোস্বামী এবং টিআরপি মামলায় ধৃত বিএআরসি-র প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের কথোপকথনে বালাকোট নিয়ে আলোচনা সামনে এসেছে। এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার সকালে পর পর টুইট করে এই প্রসঙ্গ সামনে রেখে পাক প্রধানমমন্ত্রী বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারকে। ইমরান লেখেন, ‘২০১৯ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভাতেই জানিয়েছিলাম, ফ্যাসিবাদী মোদী সরকার বালাকোট সঙ্কটকে ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ফায়দা তুলেছে। যুদ্ধে প্ররোচনা জোগানো তাদের এক সাংবাদিকের কথোপথন গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তাতে মোদী সরকার এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মধ্যেকার অসাধু যোগসূত্র এখন স্পষ্ট’।
সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলে আসছে ভারত। কিন্তু সোমবার উল্টে ভারতকেই দোষারোপ করেন ইমরান। তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে মদত দেওয়া হচ্ছে। ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। ১৫ বছর ধরে গোটা বিশ্বে আমাদের বদনাম করার যড়যন্ত্র হয়েছে। এই সব এখন জলের মতো পরিষ্কার। যে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যেকার সঙ্ঘাতকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিচ্ছে, তা ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলিতেই উঠে এসেছে’।
ইমরান আরও লেখেন, ‘আবারও বলব যে, পাকিস্তানের প্রতি ভারতের যুদ্ধভাবাপন্ন মনোভাব এবং মোদী সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের পর্দাফাঁস করবে আমার সরকার। ভারতের এমন বেপরোয়া আচরণ, আগ্রাসী মনোভাব এখনই রুখতে হবে আন্তর্জাতিক মহলকে। নইলে এই সঙ্ঘাত গোটা উপমহাদেশকে এতটাই খাদের কিনারায় পৌঁছে দেবে যে, তা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে’।
In 2019, I spoke at UNGA on how India’s fascist Modi govt used the Balakot crisis for domestic electoral gains. Latest revelations from communication of an Indian journalist, known for his warmongering, reveal the unholy nexus between the Modi govt & Indian media
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) January 18, 2021
Indian sponsorship of terrorism in Pakistan, its abuses in IIOJK & a 15-year Indian global disinformation campaign against us all stand exposed. Now India's own media has revealed the dirty nexus that is pushing our nuclearised region to the brink of a conflict it cannot afford.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) January 18, 2021
I want to reiterate that my govt will continue to expose India's belligerent designs towards Pakistan & Modi govt's fascism. Int community must stop India from its reckless, militarist agenda before the Modi govt's brinkmanship pushes our region into a conflict it cannot control.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) January 18, 2021
আরও পড়ুন: উইলমিংটনে তাণ্ডব-স্মৃতি ফিরছে ফের
২০১৯-এ পুলওয়ামা হামলার জবাবে বালাকোট ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তাতে ৩০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভারতের তরফে দাবি করা হলেও, কয়েকটা গাছ ওপড়ানো ছাড়া ভারতীয় বায়ুসেনা তেমন কিছু করতে পারেনি বলে দাবি করে আসছে পাকিস্তান। সেই নিয়ে বিতর্ক চলছে।
তার মধ্যেই সম্প্রতি অর্ণব এবং ‘বিএআরসি’ সিইও-র একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাতে স্পষ্ট যে বায়ুসেনা বালাকোটে অভিযান চালাতে চলেছে, সে কথা আগে থেকেই জানতেন অর্ণব। হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ওই মামলায় মুম্বই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটের অঙ্গ। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। চার্জশিট অনুযায়ী, ২৩ ফেব্রুয়ারি পার্থর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে অর্ণব পুলওয়ামা হামলার পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের প্রথম সাক্ষাৎকার রিপাবলিক টিভি-তে সম্প্রচার নিয়ে কথাবার্তা বলেন। ‘বালাকোট চ্যাট’-এ তার পরেই তিনি বলেন, ‘বড় একটা কিছু হবে’। পার্থ জানতে চান, দাউদ প্রসঙ্গে কোনও পদক্ষেপ করবে সরকার? অর্ণব জবাবে জানান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালাবে ভারত। সেইসঙ্গে কাশ্মীরেও বড় পদক্ষেপ করবে সরকার। পার্থ জানান, এটা ‘বিগ ম্যান’-এর পক্ষে ভালই হবে। দেশবাসী খুশি হবেন। তিনি ভোটে বড় জয় পাবেন।
আরও পড়ুন: ভিন্গ্রহীদের হাতেই কি অপহৃত হয়েছিলেন বেটি-বার্নি? সম্মোহনেও রহস্য কাটেনি সে দিনের ঘটনার
কিন্তু গোয়েন্দাদের গোপন তথ্য আগেভাগে অর্ণবের কাছে গিয়ে পৌঁছল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ২৩ ফেব্রুয়ারির ওই কথোপকথন থেকে স্পষ্ট যে, অর্ণব পাকিস্তান সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য জানতেন। অর্থাৎ সরকারের কোনও শীর্ষ কর্তা গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন। টিআরপি বাড়ানোর জন্য সেনাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জিও জানিয়েছেন অনেকে। এ বার এই প্রসঙ্গ নিয়েই কেন্দ্রকে তোপ ইমরানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy