ছবি: পিটিআই।
এ নিয়ে দ্বিতীয় বার লাহোরকে বিশ্বের দূষিত শহর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শীতের আগে ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢেকেছে পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী। নিঃশ্বাস নিতেই কষ্ট হচ্ছে বাসিন্দাদের। চোখ জ্বালা, শরীরে প্রদাহের মতো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করল প্রশাসন। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে ওই কথা বলা হয়েছে।
এখন লাহোরে বাতাসের গুণগত মান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৩৯৪। ভয়ানক দূষণের জন্য গত বছরেও এক বার কৃত্রিম উপায়ে মেঘ সৃষ্টি করা হয়েছিল লাহোরে। নামানো হয়েছিল বৃষ্টি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেও একিউআই ছিল ‘অতি ভয়ানক’। সে বার বৃষ্টি নামাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আবারও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে পাক প্রশাসন। সোমবারই লাহোরকে বিশ্বের দূষিত শহর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একিউআই ছাড়িয়েছে ৩৯৪। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে দূষণের মাত্রা ‘অতি ভয়ানক’ বলে ধরা হয়। ওই অবস্থায় যাওয়ার আগে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে প্রশাসন। পঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি দেখে বেশ কিছু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা করছি।’’ যদিও কৃত্রিম বৃষ্টির তারিখ বলেননি তিনি।
দূষণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ‘অ্যান্টি-স্মগ স্কোয়াড’ তৈরি করা হয়েছে। তারা দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা বিষয় দেখছে। কৃষকদের বোঝাচ্ছেন, তাঁরা যাতে নাড়া পোড়ানো বন্ধ রাখেন। এতে কেবল পরের বার চাষের ক্ষতিই হয় না, শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। লাহোরবাসীদের বেশির ভাগই এখন ভুগছেন চোখের সমস্যায়। চোখ জ্বালা, ত্বকে জ্বালা, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, সর্দি-কাশি এখন ঘরে ঘরে। সকলেই খুঁজছেন পরিত্রাণ। তবে সাম্প্রতিক আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে আবার বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে প্রশাসনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy