পাক সরকার সব ‘অবৈধ অভিবাসী’ এবং ‘আফগান সিটিজ়েন কার্ড’ধারী লোকজনকে ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ছেড়ে যেতে বলেছে। অন্যথায় তাঁদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, ‘বেআইনি বিদেশি নাগরিক প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি’র অংশ এটি। অবশ্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্ভ্রম বজায় রেখে পরিচালনা করা হবে, কারও সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করা হবে না। আফগানিস্তানে যাঁদের ফিরে যেতে হবে, তাঁদের জন্য খাবার ও চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে আফগান অভিবাসীরাই সংখ্যায় সর্বোচ্চ। গত চার দশকে প্রায় ২৮ লক্ষ আফগান শরণার্থী এসেছেন পাকিস্তানে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন ‘আফগান সিটিজ়েন কার্ড’ রয়েছে প্রায় আট লক্ষ মানুষের। ঠিকানা প্রমাণের কার্ড রয়েছে ১৩ লক্ষ আফগানের। তাঁরা এই নির্দেশের আওতায় পড়ছেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি ইসলামাবাদ। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর কার্যকর হওয়া ‘বেআইনি বিদেশি নাগরিক প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি’তে এ পর্যন্ত আট লক্ষ আফগানকে নিজের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
শাহবাজ শরিফের সরকার বরাবর অধিকাংশ জঙ্গি হামলা এবং দুস্কৃতী দৌরাত্ম্যের দায় ঠেলে থাকে বেআইনি আফগান অভিবাসীদের উপরে। এই নির্দেশিকার নেপথ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ, অর্থনৈতিক চাপের মতো নানা কারণের কথা বলা হচ্ছে। ২০২১-এ তালিবান আফগানিস্তান পুনর্দখল করার পর থেকে পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। যাঁদের চলে যেতে বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ আমেরিকা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে পুনর্বাসনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)