Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pakistan Blast

বদলা নিতেই পেশোয়ারের মসজিদে বিস্ফোরণ, মনে করছে পুলিশ, মৃতের সংখ্যা পৌঁছল একশোয়

পেশোয়ার পুলিশের প্রধান মহম্মদ ইজাজ় খানের দাবি, জঙ্গিদমন কার্যকলাপে পুলিশ বাহিনী প্রথম সারিতে রয়েছে। তাই পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতেই মসজিদে হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।

পেশোয়ারের মসজিদে বিস্ফোরণে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পেশোয়ারের মসজিদে বিস্ফোরণে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। — ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
পেশোয়ার, পাকিস্তান শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০৬
Share: Save:

কাউকে বার্তা দেওয়া নয়। বদলা নিতেই পাকিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। উদ্দেশ্য ছিল, জঙ্গিবিরোধী কার্যকলাপ চালানো পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া। এমনটাই মনে করছে পেশোয়ারের পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পেশোয়ারে পাক পুলিশের সদর দফতর লাগোয়া মসজিদে বিস্ফোরণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক শো পুলিশকর্মী। সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গিদমন অভিযানে যাওয়া পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভাঙাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পেশায়ার পুলিশের প্রধান মহম্মদ ইজাজ় খান সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘জঙ্গিদমন কার্যকলাপে আমরা প্রথম সারিতে রয়েছি। এ জন্যই আমাদের নিশানা করা হল। উদ্দেশ্য ছিল, বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী ছাড়াও স্থানীয় ভাবে তৈরি হওয়া ‘ইসলামিক স্টেট’-এর কোনও সংগঠনও বিস্ফোরণের পিছনে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পাক তালিবান হামলার দায় স্বীকার করলেও পুলিশের সন্দেহ, হামলার ধরণ নিয়ে। পেশোয়ার পুলিশের অভিজ্ঞ আধিকারিকেরা বলছেন, পাক তালিবান এ ভাবে গণসংহারের পথে যায় না। তাই এ ক্ষেত্রে অন্য কারও হাত থাকতে পারে।

গত সোমবার বিস্ফোরণের সময় মসজিদ এলাকায় অন্তত চারশো জন পুলিশকর্মী হাজির ছিলেন। নমাজ পড়ার সময় হওয়ায় আরও বহু পুলিশকর্মী এ দিক ও দিক থেকে এসেছিলেন মসজিদে। বিস্ফোরণে মসজিদের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ধসে পড়ে ছাদও। ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ খুঁজে বার করার কাজ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলের পর। খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান মোয়াজ্জম জাহ্ আনসারি জানিয়েছেন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১০ থেকে ১২ কেজি বিস্ফোরক বেঁধে অতিথির ছদ্মবেশে মসজিদের এসেছিলেন আত্মঘাতী জঙ্গি। নমাজ শুরু হতেই বিস্ফোরণ ঘটান তিনি।

অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ৯৭ জনই পুলিশ আধিকারিক। তিন জন সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জন গুরুতর আহতের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

২৩ বছরের পুলিশ কনস্টেবল ওয়াজাহাৎ আলি ভাঙা পা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মসজিদের একটি অংশ ধসে পড়ে। তিনি তার তলায় চাপা পড়েন। তিনি বলছেন, ‘‘ধ্বংসাবশেষের তলায় একটি মৃতদেহের নীচে আমি চাপা পড়েছিলাম। এ ভাবেই সাত ঘণ্টা থাকতে হয়েছে। বেঁচে ফিরব এই আশা আমি ছেড়েই দিয়েছিলাম।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Pakistan Blast Peshawar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy