Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইমরানের বক্তৃতা নিয়ে মরিয়া প্রচার পাক সংবাদমাধ্যমে

বহুল প্রচারিত পাক সংবাদমাধ্যমের সাইটে প্রথমের দিকেই রয়েছে একটি খবর।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৫
Share: Save:

রাষ্ট্রপুঞ্জে ইমরান খানের বক্তৃতার পরে কাশ্মীরের রাস্তায় স্বাধীনতার দাবি উঠেছে বলে দাবি করল পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম। সে দেশের একটি চ্যানেলের দাবি, কাল বেশ রাতে ‘শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি’ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে ও কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান তোলেন তাঁরা। এর পরেই ভারত সরকার আজ শ্রীনগর-সহ উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় নাগরিকদের গতিবিধি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে বলে চ্যানেলটির দাবি।

বহুল প্রচারিত পাক সংবাদমাধ্যমের সাইটে প্রথমের দিকেই রয়েছে একটি খবর। শিরোনাম— ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা খুব পছন্দ হয়েছে পাক আমজনতার, সেলেব্রিটিদেরও।’’ তার ঠিক নীচেই তুলে দেওয়া হয়েছে একের পর এক টুইট। প্রথমটাই ওয়াসিম আক্রমের। প্রাক্তন ফাস্ট বোলার লিখেছেন, ‘‘মনে হল, পাকিস্তানের সত্যিকারের কণ্ঠস্বর শুনলাম। #থ্যাঙ্কইউস্কিপার।’’ আক্রমের মতো আর এক প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক শোয়েব মালিকও উচ্ছ্বসিত। তাঁর টুইট, ‘‘আজকের মুহূর্তটা চিরকাল মনে থাকবে।’’ মাহিরা খান, বীণা মালিক, হুমায়ুন সইদের মতো পাকিস্তানের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও আপ্লুত।

অন্য একটি পাক সংবাদমাধ্যমের কথায়, ‘‘ইমরান তাঁর বক্তৃতার জন্য নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছেন বলে ভারতীয় মিডিয়া যখন অনুযোগ করছে, তখন পাকিস্তানি ও কাশ্মীরিরা ভারতীয় কূটনীতিকদের মুখের ভাব নিয়ে তাঁদের ‘ট্রোল’ করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়েও ‘মিম’ তৈরি করেছেন।’’ মিমের কোনওটিতে পর্দার আড়াল থেকে উঁকি দেওয়া মোদীর ছবি, কিংবা তাঁর শবাসন করার ছবি। নীচে লেখা, ‘‘ইমরান খানের বক্তৃতা শোনার পরে।’’ ইমরানের বক্তৃতার সময়ে টিভি থেকে নেওয়া দুই ভারতীয় মহিলা কূটনীতিকের ছবি-সহ পাকিস্তানের অনেকে টুইট করেছেন, ‘‘ভারতের কূটনীতিকদের অভিব্যক্তিতেই অপরাধবোধ স্পষ্ট। সত্যিটা তাঁরাও জানেন।’’

ইমরান ছাড়া আর কোন কোন নেতা রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছেন, তা নিয়েও লেখা হয়েছে একটি প্রতিবেদন। তাতে রয়েছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের কথা। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মোতাবেক কাশ্মীর সমস্যা মেটানোর উপরে জোর দিয়েছেন তিনিও।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা নিয়ে মরিয়া প্রচার সত্ত্বেও অস্বস্তি ঢাকা পড়েনি পাকিস্তানের। গত কাল নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা। সেই দলে ছিলেন মানবাধিকার কর্মী গুলালাই ইসমাইল। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মুখে দেশ ছেড়ে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাস বন্ধের নামে নিরীহ পাখতুনদের মারা হচ্ছে। কত মানুষ জেলবন্দি। পাক সেনা অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করুক।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy