প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তানে ফের খুন হলেন এক সাংবাদিক। অজয় লালওয়ানি নামে বছর একত্রিশের ওই যুবকের মৃত্যুতে গোটা দেশেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অজয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন তাঁর সহকর্মী-সহ দেশবাসীর একাংশ।
সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর শহরের ঘটনা। পুলিশ আজ জানিয়েছে, গত বুধবার সালেহ পত এলাকার একটি সেলুনে চুল কাটাতে গিয়েছিলেন অজয়। সেখানে দু’টি মোটরবাইক ও একটি গাড়িতে চেপে জনা কয়েক দুষ্কৃতী আচমকা হামলা চালায়। অজয়ের পেট, হাঁটু আর হাতে পরপর কয়েকটি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রক্তাক্ত অজয়কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেল ও একটি উর্দু দৈনিকে সাংবাদিকতা করতেন অজয়। বরাবরই পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পরে সুক্কুরের পুলিশ জানিয়েছিল, ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা থেকেই অজয়ের উপরে হামলা হয়েছে। যদিও সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন নিহত সাংবাদিকের বাবা দিলীপ কুমার। তাঁর দাবি, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না।
পাকিস্তানে সাংবাদিকদের উপরে হামলার ঘটনা নতুন নয়। গত এক দশকে কমপক্ষে ৬০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন এ দেশে। অনেক ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। অজয়ের খুনের পিছনে যাদের হাত রয়েছে, অবিলম্বে যাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়, সেই দাবি উঠেছে কাল থেকেই। কাল অজয়ের শেষকৃত্যে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শামিল হয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীদের একটা বড় অংশ। করাচি, খইরপুর, শিকারপুর, লারকানার মতো শহরের সাংবাদিকেরাও অজয়ের জন্য বিচার চেয়ে সরব হয়েছেন। কালকের মতো আজও সুক্কুরের সব দোকানপাট ছিল বন্ধ। গোটা শহরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ‘পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস’-এর তরফেও আজ এক বিবৃতিতে অজয়ের উপরে হামলার কড়া নিন্দা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy