ছবি: রয়টার্স।
প্যারিসে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে জঙ্গিদের পুঁজি জোগানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর শীর্ষ বৈঠক। এমনিতেই কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের উপরে। তার উপরে সম্প্রতি পাকিস্তান সম্পর্কে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ বা এপিজি (নজরদারি সংক্রান্ত সহ-সংস্থা) যে সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে তাতে রক্তচাপ আরও বাড়ার কারণ রয়েছে ইমরান খান সরকারের। সেখানে বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগান বন্ধ করতে চল্লিশটি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল পাক সরকারকে। তার মধ্যে মাত্র একটিই করে উঠতে পেরেছে তারা।
কূটনীতিকদের মতে, ধূসর তালিকায় থাকা ইসলামাবাদকে ঋণ বা অনুদান দেওয়ার প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া সময়ের অপেক্ষামাত্র। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন প্রবল ভাবে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সাহায্যের মুখাপেক্ষী। এফএটিএফ-র সিদ্ধান্তে এই সাহায্যও ব্যাহত হয় কি না সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে সংশ্লিষ্ট সব দেশই।
পাকিস্তানে জঙ্গিদের পুঁজি সরবরাহের পথ বন্ধ করতে ভারতই প্রথম উদ্যোগী হয়েছিল এই এফএটিএফ মঞ্চে। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, যে ভাবে তথ্য এবং নথি তুলে দেওয়া হয়েছিল এফএটিএফ-র হাতে তাতে কাজটা তাদের পক্ষে অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এপিজি-র তৈরি করা রিপোর্টটি এফএটিএফ-র শীর্ষ বৈঠকে অন্যতম প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই জানা গিয়েছে। এই নতুন রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যে ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা নিয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করতে হবে পাক সরকারকে। সেইসঙ্গে পাক বিচারব্যবস্থার ‘মৌলিক উন্নতি’ ঘটানো প্রয়োজন। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, যে ৪০টি পদক্ষেপ করার ‘পরামর্শ’ এফএটিএফ-র পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একটি পুরোপুরি পালন করেছে পাকিস্তান। ৩৫টি আংশিক ভাবে পালিত হয়েছে। ৪টি আদৌ পালন করা হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠন এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা না-নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy