পেশোয়ারের সেই কপুর হাভেলি।
প্রয়াত দুই কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা রাজ কপূর ও দিলীপ কুমারের ঐতিহাসিক পৈত্রিক বাড়ি কিনে নিচ্ছে পাক সরকার। পাকিস্তানের পেশোয়ারে ভগ্নপ্রায় বাড়ি দু’টি ইতিমধ্যেই জাতীয় হেরিটেজ ঘোষণা করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্য সরকার। এ বার দুই মালিকের কাছ থেকে বাড়ি কিনে নেওয়ার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দ করা হবে বলে পাক সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
দেশভাগের স্মৃতি নিয়ে পেশোয়ার শহরের প্রাণকেন্দ্র কিস্সা খোয়ানি বাজার এলাকায় এখনও রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ‘কপূর হাভেলি’। ১৯১৮ থেকে ’২২ সালের মধ্যে বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন রাজ কপূরের পিতামহ দেওয়ান বশেশ্বরনাথ কপূর। রাজ কপূর ও তাঁর কাকা ত্রিলোক কপূর এই বাড়িতেই জন্মেছিলেন। কপূর হাভেলির অদূরেই রয়েছে আর এক কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমারের পৈত্রিক বাড়ি। শতাব্দী প্রাচীন এই বাড়িটিও ২০১৪ সালে জাতীয় হেরিটেজ ঘোষণা করেছিল তৎকালীন নওয়াজ শরিফ সরকার।
বর্তমানে দু’টি বাড়িরই মালিক স্থানীয় দুই ব্যাক্তি। তবে দু’টি ভবনকেই হেরিটেজ ঘোষণা করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার। স্থানীয় প্রত্নতত্ব বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণ করলেও এখনও মালিকানা হাতবদল হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পেশোয়ারের ডেপুটি কমিশনারকে অধিগ্রহণের চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান আব্দুস সামাদ খান বলেন, ‘‘দুই কিংবদন্তি অভিনেতার ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত দু’টি বাড়িই দেশের গর্ব। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বলে বিভিন্ন সময়ে মালিকরা দু’টি বাড়িই ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন তৈরির চেষ্টা করেছেন। তবে ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে দু’টি ভবনই সংরক্ষণ করবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।’’
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: খুলছে সিনেমা হল, থাকছে সংশয়, উদ্বেগও
কপূর হাভেলির বর্তমান মালিক আলি কদর। তাঁর দাবি, তাঁরাও বাড়িটি ভাঙতে চান না। সেই কারণেই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করে ঐতিহাসিক কাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। সরকারি সূত্রে খবর, আলি কদর বাড়িটির দাম চেয়েছেন পাকিস্তানি মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকা। বিপুল অর্থ হেঁকেছেন দিলীপ কুমারের বাড়ির মালিকও।
আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিব হচ্ছেন আলাপন, বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন
১৯৯০ সালে ভাই রণধীর কপূরের সঙ্গে তাঁর বাবা রাজ কপূরের জন্মভিটেয় গিয়েছিলেন প্রয়াত ঋষি কপূর। সেই সময়েই তিনি কপূর হাভেলিকে একটি জাদুঘর বানানোর আর্জি জানান। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সেই আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘোষণাই সার। দু’বছরে সেই ফাইল তেমন নড়াচড়াই হয়নি বলে ইসলামাবাদ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy