৯ নভেম্বর করতারপুর করিডর উদ্বোধনের দিনে পাকিস্তানে যাওয়ার রাজনৈতিক ছাড়পত্র পেলেন সিধু। ফাইল চিত্র।
আগে দু’বার চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রকে। উত্তর আসেনি। নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর লেখা তৃতীয় চিঠিটিতে সাড়া দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আগামী ৯ নভেম্বর করতারপুর করিডর উদ্বোধনের দিনে পাকিস্তানে যাওয়ার রাজনৈতিক ছাড়পত্র পেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা।
সিধুকে নিয়ে টানাপড়েন চলেছে আজ সন্ধের আগে পর্যন্ত। সিধু জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেন্দ্র তাঁর চিঠির উত্তর না-দিলে সাধারণ তীর্থযাত্রীর মতোই পাকিস্তানের গুরুদ্বার দরবার সাহিবে যাবেন তিনি। বিদেশমন্ত্রীকে তিনি লেখেন, ‘‘এই যে বিলম্ব চলছে এবং কোনও উত্তরই পাচ্ছি না, এতে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, সরকার বারণ করলে আইন মেনে চলা এক নাগরিক হিসেবে তা মেনে নিয়ে আমি যাব না। কিন্তু আমার এই তৃতীয় চিঠিরও কোনও উত্তর না-পেলে আমি পাক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব। লক্ষ লক্ষ শিখ তীর্থযাত্রী বৈধ ভিসা নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন।’’
প্রসঙ্গত, করতারপুর করিডর খোলার উদ্দেশ্য ভিসাবিহীন তীর্থযাত্রা হলেও সিধুকে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভিসা দিয়েছে বলে কোনও কোনও সূত্র দাবি করেছে। সিধু প্রসঙ্গে রবীশ কুমার আজ বলেন, ‘‘উনি যা ইচ্ছে করতে পারেন। আমি আগেই বলেছি, এটা একটা বিরাট অনুষ্ঠান। বিশেষ কোনও এক পর্যটক কী ভাবছেন, সে দিকে আমরা নজর দিতে পারব না। এই মঞ্চ থেকে এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাইছি না।’’ তখনও অবশ্য সিধুর ছাড়পত্রের খবর আসেনি।
উদ্বোধনের দিনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিংহ বাদল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী, হরসিমরত কৌর বাদল, সাংসদ সানি দেওল-সহ দেড়শোরও বেশি জন গণ্যমান্য ব্যক্তি। এই নামের তালিকা অনুমোদন করে পাকিস্তানের তরফে কোনও বার্তা আসেনি। রবীশ অবশ্য জানিয়ে দেন, ওই তালিকায় পাকিস্তানের অনুমোদন রয়েছে বলেই তাঁরা অনুমান করছেন। তাই সংশ্লিষ্ট তীর্থযাত্রীদের প্রস্তুত হতে বলেছেন তাঁরা।
ইমরান কয়েক দিন আগেই টুইটারে লিখেছিলেন, করতারপুরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের পাসপোর্ট লাগবে না। শুধু একটি বৈধ পরিচয়পত্র হলেই চলবে। কিন্তু পাক সেনার মুখপাত্র আসিফ গফুর আজ জানান, ভারতীয় শিখদের পাসপোর্ট লাগবেই। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টা যে-হেতু নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, তাই পাকিস্তানে প্রবেশ করতে হলে পারমিট নিয়ে আইনি পথে আসতে হবে। নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনও আপস নয়।’’ এই প্রসঙ্গে রবীশ কুমার বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তানের সই করা সমঝোতাপত্রে স্পষ্ট বলা রয়েছে, কী কী নথি লাগবে। তার কোনও একতরফা বদল করা যায় না।’’ পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় বিশেষ পর্যটন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। করিডরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পাক রেঞ্জার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy