চলতি বছরের সবচেয়ে বড়মাপের ইজ়রায়েলি হানাদারির সাক্ষী হল গাজ়া। গত ২৪ ঘণ্টায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেখানে সওয়া ৪০০-রও বেশি প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাসের নেতা তথা গাজ়ার প্রশাসনিক প্রধান এসাম আল-দালিস, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক দফতরের প্রধান মাহমুদ আবু ওয়াতফা, নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বাহজ়াত আবু সুলতান।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে রমজানের মধ্যেই গাজ়ায় একতরফা হামলা শুরুর জন্য অবশ্য ‘হামাসের সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা’ রোখার যুক্তি দিয়েছে তেল আভিভ। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামলা বাকি পণবন্দিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তার জবাব দিতেই এই হামলা।
আরও পড়ুন:
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার জানিয়েছেন, আমেরিকার সম্মতি নিয়েই নতুন করে গাজ়ার অভিযান শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। অন্য দিকে, হামাসের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে সেনা অভিযান বন্ধ করা না হলে বাকি পণবন্দিদের তারা খুন করবে। নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, হামাসের কাছে এখনও ৫৯ জন পণবন্দি রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত বলে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে। এঁদের সকলকেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় অপহরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের দূত ড্যানি দানন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা আর আমাদের শত্রুদের প্রতি কোনও দয়া দেখাব না।’’