পাকিস্তানের অন্যতম ধনী শিল্পপতি শাহজাদা দাউদ। ছবি: সংগৃহীত।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনে পাঁচ সওয়ারির মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের অন্যতম ধনী এক শিল্পপতি। নাম শাহজাদা দাউদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে সুলেমানও। মঙ্গলবার শিল্পপতির পরিবারের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানানো হয়েছে।
রবিবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য আটলান্টিক মহাসাগরে যাত্রা শুরু করে বেসরকারি সংস্থার ওই ডুবোজাহাজ। দু’ঘণ্টার মধ্যেই সেই ডুবোজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ডুবোজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সেটির বিষয়ে সীমিত তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা এবং সমুদ্র অভিযানকারী সংস্থা যুগ্ম অভিযানে নেমেছে। শাহজাদার পরিবার আরও জানিয়েছে, ‘‘আমাদের সহকর্মী, বন্ধুরা যে ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।’’
শাহজাদার সংস্থা পাকিস্তানে শক্তি, কৃষি, পেট্রোরসায়ন, টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে। ২০২২ সালের শেষে সংস্থার রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা (পাকিস্তানি মুদ্রা)। শাহজাদার বাবা হুসেন দাউদ পাকিস্তানে প্রথম সারির ধনীদের তালিকায় ছিলেন। জানা গিয়েছে, শাহজাদা পড়াশোনা করেছেন আমেরিকা এবং ব্রিটেনে।
নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন’স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সাবমেরিন ‘টাইটান’। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ওই সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত ছিল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আনুমানিক ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন ওই সাবমেরিনে বাকি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাবমেরিনে আছেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং। ৫৯ বছর বয়সি হার্ডিং অভিযানে গিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কার এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে ভালবাসেন। গত রবিবারই সমাজমাধ্যমে তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy