Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
COVID19

Covid 19: আটের মধ্যে এক জন আক্রান্ত লং-কোভিডে, দাবি রিপোর্টে

অতিমারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছেন।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
প্যারিস শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ০৭:৫১
Share: Save:

কোভিড-সংক্রমিতদের প্রতি আট জনের মধ্যে এক জন লং-কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ল্যানসেট-এ সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এ কথাই দাবি করা হল।

অতিমারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছেন। দেখা গিয়েছে এদের অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদি ভাবে কোভিডের উপসর্গ থেকে গিয়েছে, যাকে বলে লং-কোভিড। তা ছাড়া, অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে।

এত দিন পর্যন্ত এমন কোনও পরীক্ষা হয়নি, যাতে তুলনা করে দেখা হয়েছে লং কোভিড আক্রান্ত যাঁরা এবং যে সব মানুষ কখনওই কোভিড আক্রান্ত হননি, তাঁদের মধ্যে বিভেদ কোথায়। অনেক সমস্যাই লং-কোভিড বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরীক্ষা করলে হয়তো বোঝা যাবে, তার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক নেই।

ল্যানসেটের অনলাইন সমীক্ষাটি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত সমীক্ষা চলে। নেদারল্যান্ডসের ৭৬,৪০০ জন অংশ নিয়েছিলেন। লং-কোভিডের ২৩টি উপসর্গ সম্পর্কে তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। দেখা যায়, ওই সময়কালে অংশগ্রহণকারী ৭৬,৪০০ জনের মধ্যে ৪২০০ জনের বেশি (৫.৫ শতাংশ) কোভিড সংক্রমিত হন। এঁদের মধ্যে ২১ শতাংশেরও বেশি লোকজনের সংক্রমিত হওয়ার তিন থেকে পাঁচ মাস পরেও কোভিডের কোনও উপসর্গ প্রকট ছিল। কিংবা নতুন কোনও উপসর্গ দেখা গিয়েছিল।

কিন্তু এই সমীক্ষাতেই দেখা যায়, কোভিড আক্রান্ত হননি এমন যাঁরা, তাঁদের প্রায় ৯ শতাংশের একই রকম উপসর্গ রয়েছে। সব হিসেব করে দেখা গিয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের ১২.৭ শতাংশ (আট জনের মধ্যে এক জনের) লং-কোভিড বা কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি উপসর্গে ভুগেছেন।

এই সমীক্ষায় আরও দেখা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি কোভিডের আগে ও পরে কেমন ছিলেন। বোঝা গিয়েছে, ভাইরাসের হানায় ঠিক কী কী ঘটেছে। দেখা গিয়েছে, লং কোভিডের মূল উপসর্গ হল— বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেশির যন্ত্রণা, স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া, শরীরে ক্লান্তি।

অন্য বিষয়গুলি:

COVID19 Long Covid
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE