Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
COVID19

Omicron in Britain: আগামী সপ্তাহ থেকে মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়! ওমিক্রন কমায় ঘোষণা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর

মাস্ক পরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ইংরেজদের বিবেচনাবোধের উপরই ছাড়তে চান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ আর থাকবে না।

স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে ইংল্যান্ড।

স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে ইংল্যান্ড। ছবি— রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৩
Share: Save:

ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। করোনার চলতি স্ফীতির শিখর পেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার ছাড়পত্র দিল ব্রিটেন সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি থেকেই সে দেশে আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। বাড়িতে বসে নয়, এ বার অফিসের কাজ করা যাবে অফিসে এসেই। বুধবার সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন বরিস জনসন।

প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, ‘প্ল্যান- বি’ (করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ)-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি। দেশে করোনা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ‘প্ল্যান- বি’-র মেয়াদ আর বাড়ানোর কোনও কারণ নেই। সামনের সপ্তাহ থেকে ‘প্ল্যান- এ’-(স্বাভাবিক জীবনযাত্রা)-তে ফিরতে পারবে ইংল্যান্ড।

মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক থাকছে না ইংল্যান্ডে। বড় কোনও জমায়েতে ঢুকতে এত দিন প্রয়োজন হত জোড়া টিকার শংসাপত্র দেখানো। ২৭ জানুয়ারি থেকে তাতে ইতি পড়তে চলেছে। অফিসেও যাতায়াত করতে পারবেন কর্মীরা। দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা কালে আরোপিত সমস্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে দিল ইংল্যান্ড। তবে মাস্ক পরা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, বড় কোনও জমায়েত, বদ্ধ জায়গায় অনেক ক্ষণ থাকার ব্যাপার কিংবা বহু অচেনা মানুষের সংস্পর্শে এলে মাস্ক পরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু করোনা যখন কমে আসছে, তখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ইংরেজদের বিবেচনাবোধের উপরই ছাড়তে চান জনসন। এ ব্যাপারে কোনও সরকারি বিধিনিষেধ আর থাকবে না।

তবে করোনা পজিটিভ হলে বিচ্ছিন্নবাসে থাকার সরকারি নীতির মেয়াদ ২৪ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে যে হারে, তাতে বিচ্ছিন্নবাসে থাকার মেয়াদও আরও কমিয়ে আনা হতে পারে। এখন, ব্রিটেনে করোনা পজিটিভ হলে পাঁচ দিনের বাধ্যতামূলক বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন র‌্যাপিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন হয়। ভবিষ্যতে সেই নিয়মেও বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও বুধবার কমন্সে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। সব মিলিয়ে করোনা কাল শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার তোড়জোড় শুরু ব্রিটেনে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE