ওলাফ শোলৎজ়ে। জার্মানির পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। ছবি: রয়টার্স।
জার্মানিতে আস্থা ভোটে হারলেন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়। সোমবার জার্মানির পার্লামেন্টে আস্থা ভোট হয়। পার্লামেন্টে ৭৩৩ আসনের নিম্নকক্ষে শোলৎজ় ২০৭ জনের সমর্থন পান। তাঁর বিপক্ষে ভোট দেন ৩৯৪ জন এবং ১১৬ জন ভোটদানে বিরত থাকেন। নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ছিল ৩৬৭ জন জনপ্রতিনিধির সমর্থন। আস্থা ভোটে শোলৎজ়ের হারের ফলে জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচন সাত মাস এগিয়ে এল। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে সেখানে। আস্থা ভোটে শোলৎজ়ের হারের পর ভেঙে দেওয়া হয়েছে পার্লামেন্ট। তবে নতুন সরকার গঠন না-হওয়া পর্যন্ত বর্তমান জোট সরকারই দেশ চালাবে।
জার্মানিতে শোলেৎজ়ের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে শুরুতে তিনটি দল ছিল। শোলেৎজ়ের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এ ছাড়া ছিল ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং গ্রিনস্। গত নভেম্বর মাসে শোলেৎজ় ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে জার্মানির অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর পর থেকেই টলমল হয় জোট সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি। দেশের বাজেটকে কেন্দ্র করেই লিন্ডনারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় শোলেৎজ়ের। যার পরিণতিতে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয় লিন্ডনারকে। শাসক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক শিবির। জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসে তারা। তখন থেকেই পার্লামেন্টে শোলেৎজ়ের জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। প্রায় এক মাস ধরে চলা টানাপড়েনের পর আস্থাভোটে হারলেন শোলেৎজ়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ফ্রান্সেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আসে। ভোটাভুটি হয় এবং তিনিও আস্থাভোটে পরাজিত হন। তবে বিষয়টি তড়িঘড়ি সামাল দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। নতুন করে নির্বাচনের পথে না-গিয়ে ফ্রাঙ্কোইস বায়রোকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেন মাকরঁ। এ বার জার্মানিতেও আস্থা ভোটে পরাজিত হলেন শোলৎজ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy