জাস্টিন স্টিভেনস জানিয়েছেন, ‘বেনাড্রিল চ্যালেঞ্জে’র ফাঁদে পড়েছিল তার নাবালক ছেলে। প্রতীকী ছবি।
বন্ধুদের সঙ্গে টিকটকের ‘বেনাড্রিল চ্যালেঞ্জ’ লড়তে গিয়ে প্রাণ হারাল আমেরিকার এক ১৩ বছরের নাবালক। ওই ভাইরাল চ্যালেঞ্জের শর্তপূরণ করতে অতিরিক্ত বেনাড্রিল ট্যাবলেট একসঙ্গে খেয়ে নিয়েছিল সে। তাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতাল থেকে জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফেরেনি ওহায়োর বাসিন্দা জেকব স্টিভেনস। কিশোর ছেলের মৃত্যুর পর সমাজমাধ্যমে বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রসারে নেমেছে তার পরিবার।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে জেকবের বাবা জাস্টিন স্টিভেনস জানিয়েছেন, গত সপ্তাহান্তে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বাড়িতে ছুটি কাটানোর সময় ‘বেনাড্রিল চ্যালেঞ্জে’র ফাঁদে পড়েছিল তার ছেলে। চ্যালেঞ্জ মেনে ‘হ্যালুসিনেশনে’র জন্য একসঙ্গে ১২-১৪টি কাশির ট্যাবলেট বেনাড্রিল খেয়েছিল সে। সে সময়কার ভিডিয়ো করছে তার বন্ধুরা। তাতে দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত বেনাড্রিল খেয়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে খিঁচুনি শুরু হয় জেকবের শরীরে। এর পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ৬ দিন ভেন্টিলেশনে ছিল সে। তবে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
জাস্টিন জানিয়েছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে ওই কাশির ট্যাবলেটগুলি কিনেছিল জেকব। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে বলেছিল, ‘ওকে ভেন্টিলেশনে রেখে দিতে পারি। তবে ওখানেই পড়ে থাকবে সে। কখনও চোখ খুলবে না, শ্বাস পড়বে না। হাসি, কথা বা চলাফেরাও করবে না জেকব।’ সেটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ দিন।’’
ছেলের মৃত্যুর পর নতুন উদ্দেশ্য নিয়ে বাঁচতে শুরু করেছেন জাস্টিন। এ ধরনের ওষুধ বিক্রির সময় বাধ্যতামূলক ভাবে বয়স নির্দিষ্ট করে দেওয়ার আইন চালু করার দাবি তুলেছেন তিনি। নাতির মৃত্যুর পর স্থানীয় টিভি চ্যানেলে জেকবের ঠাকুরমা বলেছেন, ‘‘আর কোনও নাবালকের সঙ্গে যাতে এমনটা না হয়, তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের চেষ্টা করব।’’
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জানিয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণে বেনাড্রিল খেলে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, খিঁচুনি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy