ইভো মোরালেস
ভোটে কারচুপির অভিযোগে গত বছর নভেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল বলিভিয়ার ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসকে। সেনা এবং বিরোধী দলের চাপের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতেও হয় তাঁকে। অথচ গত বছর অক্টোবরে বলিভিয়ার ওই সাধারণ নির্বাচনে দুর্নীতির কোনও প্রমাণই তারা পায়নি বলে জানাল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ‘ইলেকশন ডেটা অ্যান্ড সায়েন্স ল্যাব।’
মোরালেস এই মুহূর্তে মেক্সিকোর আশ্রয়ে। সেখান থেকেই দেশে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে মে-র ভোটে আবার লড়বেন। এই পরিস্থিতিতে, ম্যাসাচুসেটসের রিপোর্ট তাঁকে বাড়তি অক্সিজেন দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু বিরোধী দল নয়, মোরালেসের বিরুদ্ধে রীতিমতো অডিট-রিপোর্ট দিয়ে ভোটে ‘গুরুতর অনিয়ম’ এবং ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনেছিল অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)। তবে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আদতে আমেরিকাই কলকাঠি নেড়েছিল বলে গোড়া থেকে সুর চড়িয়ে আসছেন মোরালেস। এমআইটির বিশেষজ্ঞ জন কুরিয়েল এবং জ্যাক আর উইলিয়ামস তাঁদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে ওএএসের ওই রিপোর্টকেই ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন একাধিক মার্কিন পত্রপত্রিকায়। পাল্টা এমআইটির গবেষণাকে ‘অসৎ’, ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘অসম্পূর্ণ’ বলে দাবি করেছে ওএএস। মোরালেস ফের তাদের দাবি নাকচ করে টুইট করেছেন, ‘‘বলিভিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে এমন বিস্তর জবাবদিহি করতে হবে ওএএস-কে।’’
মোরালেস ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিয়ানিন আনেজ় যে ভাবে ক্ষমতা দখল করেন, তা নিয়েও ঘরে-বাইরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। কার্যত আনেজ়ই সেনাকে ‘হাত করে’ তাঁকে দেশে ফিরতে দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ মোরালেসের। আনেজ়ের শিবির এখনও বলছে, ক্ষমতায় থেকে লাগাতার দুর্নীতি এবং ভোটে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় ফিরতে চাওয়া মোরালেস এখন এমআইটি-র রিপোর্টের ভরসায় দেশবাসীর মন পেতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy