৩টি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস—কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে আটকা পড়ার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফাইল চিত্র ।
বিশ্ব জুড়ে বেড়েই চলেছে গড় তাপমাত্রা। তার মধ্যেই আবহাওয়া নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, বিগত বছরগুলির তুলনায় আগামী ৫ বছরে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ হবে। গ্রিনহাউস গ্যাস এবং ‘এল নিনো’র একত্রিত প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলেও রাষ্ট্রপুঞ্জে়র তরফে জানানো হয়েছে।
মধ্য ও পূর্ব নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়াকেই এল নিনো বলে। সাধারণত প্রতি ২ থেকে ৭ বছরে এল নিনোর আবির্ভাব ঘটে। এই মাসের শুরুতে বিশ্ব আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া দফতরের দাবি, ৯৮ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে, আগামী ৫ বছর উষ্ণতম হতে চলেছে৷ ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের গড় তাপমাত্রার দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির মধ্যে বেঁধে রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল দেশগুলি৷ কিন্তু শীঘ্রই সেই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্ব আবহাওয়া দফতরের প্রধান পেটেরি তালাস। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী মাসগুলিতে এল নিনোর কারণে উষ্ণায়ন বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্যও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে৷ যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব স্বাস্থ্য, খাদ্য, পানীয় জল এবং পরিবেশের উপর পড়বে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
পেটেরি আরও জানিয়েছেন, ৩টি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস— কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে আটকা পড়ার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আলাস্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ ছাড়া প্রায় সমস্ত অঞ্চলে ২০২৩ সালে তাপমাত্রা ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের গড় তাপমাত্রার থেকে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy