Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
England

আবার বিধিনিষেধ ইংল্যান্ডে

ফলে লাভের আশায় বড়দিনের আগে সেজে উঠলেও নয়া বিধিনিষেধে বড় ধাক্কার মুখে হোটেল, রেস্তরাঁ ও বিনোদন ব্যবসা।

কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই চলছে রেস্তোঁরায় খাওয়াদাওয়া। ছবি রয়টার্স।

কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই চলছে রেস্তোঁরায় খাওয়াদাওয়া। ছবি রয়টার্স।

শ্রাবণী বসু
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৬
Share: Save:

প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হতে না হতেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ব্রিটেন। স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানান, নতুন ধরনের এক করোনাভাইরাসের প্রভাবে দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। যার মোকাবিলায় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ফের কড়া বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে লন্ডন-সহ কিছু এলাকায়।

সোমবার সরকারের করোনা-মোকাবিলা কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরেই স্বাস্থ্য সচিব হ্যানকক এমপিদের জানিয়ে দিয়েছেন, বুধবার থেকে লন্ডন এবং পাশ্বর্বর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে ‘টিয়ার থ্রি’ করা হয়েছে। পানশালা ও রেস্তরাঁগুলিতে বসে খাওয়া যাবে না। বাইরের লোকের সঙ্গে সামাজিক মেলামেশাও বন্ধ রাখতে হবে। ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে সিনেমা হল। ফলে লাভের আশায় বড়দিনের আগে সেজে উঠলেও নয়া বিধিনিষেধে বড় ধাক্কার মুখে হোটেল, রেস্তরাঁ ও বিনোদন ব্যবসা।

লন্ডনে বাঙালি খাবারের দোকান আসমা খানের। কভেন্ট গার্ডেনে তাঁর জনপ্রিয় রেস্তরাঁর নাম ‘দার্জিলিং এক্সপ্রেস’। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে জানি। কিন্তু সরকার আমাদের পাশে থাকছে না।’’ কোভিড আবহে বড়দিনের ভিড় সামলাতে যাতে সমস্যা না হয়, তাই আসমা তাঁর রেস্তরাঁ সরিয়ে খোলামেলা একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকার জেরে এখন রেস্তরাঁ থেকে খাবার বাড়ি নিয়ে গেলেও বসে খাওয়া যাবে না সেখানে। এতে আপত্তি তুলেছেন অনেকে। অনেকেই বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে রেস্তরাঁ খোলা রাখতে সমস্যা কোথায়? ম্যাট জানান, এই সব বিধিনিষেধের মূলে যে নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক তাতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ইংল্যান্ডে এক হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানি ফের সব বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ ব্যবসায় ক্ষতি হওয়া। কিন্তু এখন এটা আবশ্যক। শুধু মাত্র মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই নয়, ভবিষ্যতে আরও ক্ষতিকর ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এটা দরকার।’’

করোনায় বদল, বিলেতে বিপত্তি

• দক্ষিণ ইংল্যান্ডের কিছু এলাকায় করোনাভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। ওই স্ট্রেনে বেশ কিছু জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। নতুন স্ট্রেনটি আগের চেয়ে দ্রুত ছড়াতে সক্ষম।

• অনেকের আশঙ্কা, এই স্ট্রেনটি দ্রুত ছড়াবে, টিকাতেও হয়তো কাজ হবে না। কিন্তু এমন কোনও পোক্ত প্রমাণ মেলেনি।

• ফাইজ়ার, অক্সফোর্ড, মডার্নার মতো অধিকাংশ সংস্থার তৈরি টিকা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে, যা স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। কিন্তু স্পাইক প্রোটিনই যদি পরিবর্তিত হয়ে অ্যান্টিবডিকে এড়ানোর ক্ষমতা তৈরি করে ফেলে, সেখানেই সমস্যা। সে ক্ষেত্রে টিকাতেও পরিবর্তন আনতে হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তবে অ্যান্টিবডির আক্রমণ বহুমুখী। ভাইরাসের পক্ষে তা সম্পূর্ণ এড়ানো সম্ভব নয়।

অন্য বিষয়গুলি:

England Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy