এভারেস্ট থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ জয়ের লোভে প্রতি বছরই ভিড় করেন হাজার হাজার পর্বতারোহী। মাউন্ট এভারেস্টের যাত্রাপথে এখন স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় অক্সিজেনের বোতল, প্রসেসড খাবারের ক্যান, ছেঁড়া দড়ি, তাঁবু, মইয়ের অংশ। যে ছবি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পরিবেশবিদদের। পর্বতারোহীদের ফেলে যাওয়া ওই স্তূপীকৃত জঞ্জাল থেকে দূষিত হচ্ছে এভারেস্টের বাতাস। নোংরা হচ্ছে সেখানকার মাটি। এ বার এভারেস্ট বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে নেপালে। পর্বতারোহীদের ফেলে যাওয়া সেই বর্জ্য থেকেই শিল্পকীর্তি তৈরি করে একটি সংগ্রশালা বানানোর কথা ভাবা হচ্ছে এ বার।
প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা টমি গুস্তাফসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিল্পকীর্তিগুলো তৈরি করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি শিল্পীদের সাহায্যও নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘‘ফেলে যাওয়া বর্জ্য থেকে কী ভাবে অমূল্য শিল্প সৃষ্টি করা যায়, গোটা বিশ্বকে আমরা তা দেখাতে চাই। এতে এক দিকে যেমন পরিবেশ বাঁচবে, সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের উপার্জনের ব্যবস্থাও হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্জ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চাই আমরা।’’
এভারেস্টের ৩,৭৮০ মিটার উচ্চতায় এই সংগ্রহশালা বানানো হবে। ওই এলাকায় রয়েছে একটি বেস ক্যাম্প, যেখান থেকে শৃঙ্গজয়ের যাত্রা শুরু হয়। কেউ চাইলে কোনও জিনিস স্মারক হিসেবে সেখান থেকে নিয়েও আসতে পারবেন।
এভারেস্টের বিভিন্ন অংশ থেকে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ অনেক দিন ধরেই করে আসছে কয়েকটি পরিবেশ সংগঠন। দুর্গম ওই এলাকা থেকে সেগুলি সংগ্রহের কাজ খুবই কঠিন। এমনই একটি সংস্থা ইকো হিমাল গ্রুপের তরফে ফিনজো শেরপা বললেন, ‘‘এ বার আমরা ‘ক্যারি মি ব্যাক’ নামে একটি প্রকল্প চালু করতে চলেছি। যেখানে প্রত্যেক অভিযাত্রীকে একটি ব্যাগে অন্তত এক কিলোগ্রাম করে বর্জ্য ফেরত আনার অনুরোধ করা হবে। লুকলা পর্যন্ত তাঁরা ওই বর্জ্য এনে দিলে, পরে আমরা সেগুলো আকাশপথে কাঠমান্ডু পৌঁছনোর ব্যবস্থা করব।’’ শেরপার বক্তব্য, যাঁরা এভারেস্টে আসছেন, তাঁদের প্রত্যেককে এই অভিযানে শামিল করা গেলে পরিবেশ অনেকটাই শুদ্ধ করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy