নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। ছবি: রয়টার্স
ভারত সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে চাপে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। তাঁর নিজের দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকেই চাপ তৈরি হয়েছে পদত্যাগের। নেপাল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গোটা বিষয়টির পিছনে হঠাৎ ভারতকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরিই একমাত্র কারণ, না দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই— সেটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক যে ভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, চিনের অতি ঘনিষ্ঠ ওলি সরে গেলে তা নয়াদিল্লির জন্য খুশির খবরই হবে। ভারতের তিনটি ভূখণ্ড নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে সংসদে পাশ করানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে সঙ্কট শুরু হয়। এর পরে প্রকাশ্যে আসে সে দেশের একটি রিপোর্ট, বেজিংয়ের মদতে নিজের গদি আঁকড়ে রাখার স্বার্থে চিনকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়েছেন ওলি। সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে ভারত।
ওলি যে প্রবল চাপে তা আজকে তাঁর হাসপাতালে যাওয়াতেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে নেপাল সূত্র। হঠাৎই বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে ওলিকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পুষ্পকুমার দহল (প্রচণ্ড) ছাড়া প্রবীণ নেপালি নেতা মাধবকুমার নেপাল, বামদেব গৌতম, ঝালনাথ খানালেরাও ওলির অপসারণ দাবি করেছেন। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির এক সদস্যের কথায়, “আমরা এক কূটনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে চলেছি। ওলিকে সরানোর জন্য তাদের রাষ্ট্রদূত ষড়যন্ত্র করছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার প্রমাণ যদি ভারত বিবৃতি দিয়ে চায় তা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।“
তবে কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, নেপালে ঘটনার গতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে ভারতের উষ্মার কোনও কারণ নেই। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত দু’সপ্তাহে প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ থেকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব— প্রত্যেকেই নেপালের সঙ্গে ভারতের সভ্যতার সংযোগের বিষয়টি তুলে ধরে ইতিবাচক বার্তাই দিয়ে চলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy