নেপালের পোখারায় বিমান দুর্ঘটনার স্থান থেকে দেহ উদ্ধার করছে উদ্ধাকারী দল। ছবি: রয়টার্স
নেপালের পোখরার বাসিন্দা বিষ্ণু তিওয়ারি। নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় কাছেপিঠেই ছিলেন তিনি। বিমান ভেঙে পড়ার বিকট আওয়াজ পেয়ে কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে বিষ্ণু তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আর সেখানে পৌঁছে তিনি এক বীভৎস অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর বিষ্ণু শুনেছিলেন এক যাত্রীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য কাতর আর্তনাদ এবং কান্না। সেই কান্না শুনে তিনি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি। ওই যাত্রীকে বাঁচানোর জন্য বিমানের দিকে দৌড়ন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে ওই বিমানকে গ্রাস করেছে আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়া। বিমানের কাছে গিয়েও প্রচণ্ড উত্তাপে তিনি এগোতে পারেননি। কয়েক মিনিট পরে ধীরে ধীরে থেমে যায় ওই যাত্রীর চিৎকার।
বিষ্ণুর কথায়, “আগুনের শিখা এতই উত্তপ্ত ছিল যে আমরা ধ্বংসস্তূপের কাছে যেতে পারিনি। আমি এক জন যাত্রীকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনেছি। কিন্তু শিখা এবং ধোঁয়ার কারণে আমরা তাঁকে সাহায্য করতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করেও পারিনি।’’
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এর কিছু ক্ষণ পর উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছন আরও অনেকে। আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ! জানিয়েছেন বিষ্ণু।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে অবতরণের কয়েক সেকেন্ড আগে ৭২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ে ইয়েতি বিমান সংস্থার এটিআর-৭২ বিমান। মাঝ আকাশেই বিমানটি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই উল্টে গিয়ে ভয়ঙ্কর শব্দ করে মুখ থুবড়ে মাটিতে ভেঙে পড়ে। মনে করা হচ্ছে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ওই বিমানে থাকা কোনও যাত্রীই প্রাণে বাঁচেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy