—প্রতীকী ছবি।
আগামী এক বছরের মধ্যে ইউক্রেনকে ৪৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য পাঠাবে নেটো। আজ এ কথা ঘোষণা করল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি সামরিক জোট। সেই সঙ্গে এই প্রতিশ্রুতিও দিল, ইউক্রেনকে নেটোয় অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি সদর্থক পথে এগোচ্ছে এবং পিছু হটার প্রশ্ন নেই।
গত কাল ওয়াশিংটনে নেটোর বৈঠক বসেছিল। সেখানে চিনের প্রসঙ্গও ওঠে। নেটোর অভিযোগ, ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করে চলেছে চিন। তারা যে রাশিয়ার বন্ধু দেশটির উপরে নজর রাখছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে নেটো। এতে ক্ষুব্ধ বেজিং। নেটোকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছে, ‘‘চিনকে বিপজ্জনক বলে অযথা উত্তেজনা ছড়ানো বন্ধ করা হোক। সম্মুখ সমরের জন্য না উস্কে বিশ্বে শান্তি ও স্থিতাবস্থা আনার বিষয়ে ভাবুক নেটো।’’ যদিও রাশিয়া-চিন সখ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই। ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোণঠাসা রুশ অর্থনীতিকে সহযোগিতা করে চলেছে বেজিং।
গত কালের বৈঠকে নেটো আপাতত যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা হল: জোটের সদস্য দেশগুলি প্রত্যেকেই একক ভাবে এবং একত্রিত ভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে। কারণ ইউক্রেনের নিরাপত্তার সঙ্গে ইউরোপের সুরক্ষা জড়িয়ে রয়েছে বলে তাদের দাবি। আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক জানিয়েছে, এই গ্রীষ্মেই নেটোর পক্ষ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে ইউক্রেনকে। আমেরিকা জানিয়েছে, ২০২৬-এর মধ্যে জার্মানিতে বেশি-দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হবে। রাশিয়া যে ভাবে ইউরোপের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, সেটা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে তারা। ঠান্ডা যুদ্ধের পরে এই প্রথম আমেরিকার শক্তিশালী অস্ত্র পৌঁছবে ইউরোপে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘নতুন যুদ্ধবিমানগুলি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনবে। দেখিয়ে দেবে সন্ত্রাস শেষমেশ ব্যর্থই হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy