প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া বন্ধ করতে হবে বলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, এ নিয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থার রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। কূটনীতিকদের মতে, পাকিস্তানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী চিন ও আমেরিকাকেও বার্তা দিয়েছেন।
পাশাপাশি অন্য একটি বৈঠকে একই টেবিলে বসা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সামনেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগান বন্ধ করা নিয়ে সরব হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে কৌশল রচনা সংক্রান্ত একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার কাছে পাকিস্তান বা তার মিত্র দেশ চিনের নাম না করে মোদী জঙ্গিদের হাতে অর্থ পৌঁছানো নিয়ে সরব হয়েছেন। আগামী মাসেই প্যারিসে বসছে জঙ্গিদের পুঁজি জোগানের উপরে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-র বৈঠক। সেখানে কালো তালিকায় চলে যাওয়ার খাঁড়া ঝুলছে ইমরান খান সরকারের উপরে। ধারাবাহিক ভাবে বড় বড় দেশগুলির সঙ্গে প্রাণপণ দৌত্যও চালিয়ে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। উদ্দেশ্য ওই খাঁড়ার কোপ থেকে রক্ষা পেয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের একটি বড় অঙ্কের ঋণ হস্তগত করা। কূটনীতিকদের মতে, ঠিক এই জায়গাতেই আঘাত হানতে চাইছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গীতেশ শর্মা প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বৈঠকের পরে বলেন, “জঙ্গিরা যাতে কিছুতেই অর্থ এবং অস্ত্র না পায় তা নিশ্চিত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভাল জঙ্গি বা খারাপ জঙ্গি বলে যে কিছু হয় না সে কথা ওই বৈঠকে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাকে বলেছেন তিনি।”
জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছিল চিন। তার আগে তালিবানের সঙ্গে লড়াইয়ে পাকিস্তানকে পাশে রাখতে আমেরিকা আমদানি করেছিল ভাল এবং মন্দ জঙ্গির তত্ত্ব। তাই বিভিন্ন দেশের এই শীর্ষতম মঞ্চটিকে কাজে লাগিয়ে, সন্ত্রাস-তোষণের নীতিকে ভর্ৎসনা করতে চেয়েছেন মোদী। গীতেশের কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকা এবং এফএটিএফ-র ব্যবস্থাকে জোরদার করার পক্ষে সওয়াল করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।”
অন্য দিকে আজ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে আস্থাবর্ধন সংক্রান্ত বৈঠকে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মুরলীধরন বলেন, ‘‘কিছু দেশের আর্থিক, রাজনৈতিক এবং নৈতিক সমর্থনের ফলে সিকাভুক্ত অনেক রাষ্ট্রই সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy