—ফাইল চিত্র।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের (টু প্লাস টু) আগে সরগরম দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতি। ৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি পৌঁছনোর পথে ইসলামাবাদে ইমরান সরকারের সঙ্গে আলোচনা সেরে আসবেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেয়ো।
ওয়াশিংটন গত কালই জানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য ধার্য ৩০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ, জঙ্গিদের স্বর্গোদ্যান হয়ে যাওয়া সেই দেশকে সন্ত্রাসবাদ মুক্ত করার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও কান দেয়নি ইসলামাবাদ। আর ইসলামাবাদের উপর এই চাপ বাড়ায় স্বস্তিতে নয়াদিল্লি।
টু প্লাস টু বৈঠকের আগে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে অতিরিক্ত লাভ হিসেবে দেখছে ভারত। কারণ, এত দিন আমেরিকা তথা পশ্চিম বিশ্বকে এই কথাই ধারাবাহিক ভাবে বলে এসেছে ভারত। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপ্রাপ্ত এবং সে দেশ থেকে পাচার হওয়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে হোয়াইট হাউস। কিন্তু নয়াদিল্লি জানে যে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে পাকিস্তানকে এখনও প্রয়োজন আমেরিকার।
কূটনীতিকদের অনেকেই মনে করছেন, এটা আমেরিকার সাময়িক চাপ তৈরির কৌশল। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, পাকিস্তানের উপরে পশ্চিম বিশ্বের যত টুকুই চাপ থাক, নয়াদিল্লির জন্য সেটা মঙ্গলের। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করা নিয়ে যে প্রচার বিশ্বমঞ্চে করে চলেছে নয়াদিল্লি, তা এই পরিস্থিতিতে আরও জলবাতাস পাবে।
তবে মার্কিন সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিক্রিয়ায় মুখর হয়েছে ইমরান সরকার। সে দেশের নতুন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘‘৩০ কোটি ডলার কোনও অনুদান বা সাহায্য নয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই অর্থ পাকিস্তান খরচ করেছিল নিজেদের সম্পদ থেকে। কথা রয়েছে আমেরিকা এটা আমাদের মিটিয়ে দেবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তারা এই অর্থ মেটাতে চাইছে না। অথবা ওদের দেওয়ার মতো ক্ষমতাও নেই।’’
কুরেশি জানিয়েছেন, পম্পেয়োর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। তবে অর্থ চেয়ে চাপ বাড়ালেও পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘দু’দেশের সম্পর্কে উন্নতিই চাইছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy