ফাইল চিত্র।
এ বার চার বছরের জেল। আগে দু’বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে যোগ হবে এ’টি, অর্থাৎ মোট ৬ বছর জেলে থাকতে হবে মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চি-কে।
এ বারের অপরাধ— প্রশাসনকে না-জানিয়ে একটি ওয়াকি টকি রাখা, বাড়িতে তল্লাশির সময়ে সেনারা যেটি উদ্ধার করেছে। তার উপরে জিনিসটি আবার বিদেশি (মায়ানমারে অবশ্য ওয়াকি টকি তৈরিই হয় না)। সেটি ‘আমদানি’ করার জন্য সু চি কেন সরকারি অনুমতি নেননি, আনা হয়েছে সেই অভিযোগ। অর্থাৎ হোক না মাত্র একটা ওয়াকি টকি, কিন্তু সেটি বিদেশ থেকে আমদানি করে সরকারকে তো রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন সু চি। সঙ্গে আবার একটি বাতিল সিগন্যাল জ্যামারও মিলেছে তাঁর বাড়ির গুদাম ঘর থেকে। সেটিও যুক্ত হয়েছে অভিযোগনামায়। এই মামলায় শাস্তি ঘোষণা করেছে মায়ানমারের সেনাশাসকদের নিয়ন্ত্রিত আদালত— জ্যামার পাওয়ার শাস্তি এক বছর, ওয়াকি টকি রাখার জন্য দু’বছর এবং রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার শাস্তি আরও এক বছর, সাকুল্যে চার বছরের জেল।
যাঁর বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ, তিনি সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান। অতীতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তবে কারাদণ্ডের ফলে তাঁর পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। কারণ এই সব ‘ছেঁদো’ অভিযোগকে একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করে কমিটি। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে লড়াইয়ের কারণেই নোবেল পুরস্কারটি পেয়েছিলেন সু চি।
গত মাসে আর একটি মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সু চি-কে। অপরাধটি ছিল মাস্ক না-পরে কোভিড-বিধি লঙ্ঘন। দুনিয়াজুড়ে হাসাহাসি শুরু হওয়ায় শাস্তি কমিয়ে অর্ধেক, অর্থাৎ দু’বছর করে দেয় জুন্টা। সেই দু’বছর জেলের সঙ্গে এই চার বছর যোগ হল। মোট ১১টি এমন ‘মারাত্মক’ অভিযোগ রয়েছে সু চি ও তাঁর দলনেতা, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy