Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Myanmar

‘মায়ানমারে নিহত ৫৫০’

সেনার বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর কারণে বছর কুড়ি পেরিয়ে এই প্রথম মায়ানমারের সবচেয়ে পুরনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনএই)-এর উপরেও আকাশপথে হামলা চালায় বাহিনী।

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
নেপিদ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২১ ০৫:২৪
Share: Save:

তারিখটা ছিল ১ ফেব্রুয়ারি। মায়ানমারে আচমকা সেনা অভ্যুত্থানের জেরে শান্তি তছনছ হয়ে যাওয়ার সেই শুরু। বিক্ষোভ প্রশমিত করতে সেনার গুলি, রবার বুলেটের মুখে রুখে দাঁড়িয়ে পাল্টা গর্জে উঠেছে গণতন্ত্রকামীরাও। দু’পক্ষের সংঘাতে প্রায় প্রতিদিনই বিসর্জন গিয়েছে একাধিক তাজা প্রাণ। ঘটনার প্রায় মাস দু’য়েক পেরিয়ে যে সংখ্যাটা বর্তমানে ৫৫০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। এই নিহতের তালিকায় রয়েছে ৪৬টি শিশুও! এই তথ্য প্রকাশ করে মায়ানমারের এক মানবাধিকার সংগঠন। শনিবার যা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেনার হাতে আরও পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।

বিরোধী আন্দোলন দমন করতে গোটা দেশে গতকাল থেকেই বেতার ইন্টারনেট পরিষেবায় কোপ বসিয়েছে জুন্টা। শুক্রবার গভীর রাতে এক আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধে’ পাঁচ জনকে আটক করে সেনা। যদিও এতে পিছুপা হননি আন্দোলনকারীরা। শনিবারও বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হন। যে রকম হয়েছিলেন মনিওয়া শহরতলিতেও। তবে বাহিনী সেই জমায়েতে নির্বিচারে গুলি চালালে প্রাণ যায় তিন জনের। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বাগো শহরে মৃত্যু হয় আরও এক জনের। থেটন শহরেও এ ভাবেই প্রাণ যায় আর একের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলিই শুধু নয়, স্টান গ্রেনেডও ছুড়ছিল বাহিনী।

সেনার বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর কারণে বছর কুড়ি পেরিয়ে এই প্রথম মায়ানমারের সবচেয়ে পুরনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনএই)-এর উপরেও আকাশপথে হামলা চালায় বাহিনী। সাম্প্রতিক হানায় তাদের কমপক্ষে ২০ জন হত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রাণে বাঁচতে গোষ্ঠীর কমপক্ষে ২০ হাজার সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে কেএনইউ। মায়ানমারের সেনার কাছে অস্ত্র বিক্রির উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছে তারা। দেশের উত্তরাঞ্চালে বসবাসকারী বিদ্রোহী সম্প্রদায় ‘কাচিন’-এর সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়েছে সেনা। এই ধরনের একাধিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অশান্তির জেরে বহু মানুষ তাইল্যন্ডের পাশাপাশি ভারতেও পাড়ি দিচ্ছেন বলে দাবি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলি। যার জেরে বিশেষত এই দুই দেশে শরণার্থী সমস্যা মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা করছে তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

army Myanmar Death Toll
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy