Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mullah Abdul Ghani Baradar

Afghanistan: বরাদরের নেতৃত্বেই তালিবান সরকার, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা হচ্ছেন আখুন্দজাদা

নব্বইয়ের দশকে তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ‘ডান হাত’ ছিলেন বরাদর। ওমরের উত্তরসূরি হিসেবেও তাঁর নাম আলোচনায় উঠে এসেছিল।

বরাদর এবং আখুন্দজাদা।

বরাদর এবং আখুন্দজাদা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
কাবুল শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৩০
Share: Save:

মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরের নেতৃত্বেই আফগানিস্তানে সরকার গড়তে চলেছে তালিবান। শুক্রবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। অন্যদিকে, তালিবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা ইরানের আয়াতুল্লা খামেইনির মতো ‘সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু’র আসনে বসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনিই সংবিধান বহির্ভূত রাষ্ট্রক্ষমতার উৎস হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ১৫ অগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের পরেই দেশের নাম বদলে ‘আফগানিস্তান ইসলামি আমিরশাহি’ করেছেন তালিবান নেতৃত্ব। গত শুক্রবার তালিবান সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, নয়া সরকারের নেতৃত্বে দেবেন ‘আমির-উল-মোমিনিন’। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় খলিফা উমর এই উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে খিলাফত অনুসারী মুসলিম শাসকদের অনেকে ওই উপাধি ব্যবহার করেছেন। সেই আমির পদে এ বার দেখা যেতে পারে বরাদরকে।

নব্বইয়ের দশকে তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ‘ডান হাত’ ছিলেন বরাদর। ওমরের উত্তরসূরি হিসেবেও তাঁর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচিতে গ্রেফতারও হন বরাদর। ২০১৫-য় আমেরিকার বিমানহানায় ওমরের মৃত্যুর পর তালিবানের নেতা হন আখতার মনসুর। ২০১৬ সালে মনসুরও ড্রোন হামলায় মারা যান। তালিবানের নেতা হন আখুন্দজাদা।

তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে ইয়াকুব এবং হক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজুদ্দিন এবং আনস হক্কানিরও নয়া সরকারের ঠাঁই পাওয়া পাকা। যদিও ওই দুই গোষ্ঠীর অন্তর্বিরোধের কথা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী হতে পারেন, দেরহাদূনের ‘ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি’ (আইএমএ)-র প্রাক্তনী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। কিন্তু ঘটনাচক্রে এঁরা সকলেই আফগানিস্তানে সংখ্যাগুরু পাশতুন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। তালিবান বাহিনীর প্রায় সকলেই এই জনগোষ্ঠীর।

এই পরিস্থিতিতে তদারকি সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে তাজিক, উজবেক, হাজারার মতো জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে তালিবান। চাইছে, অ-তালিবান নেতাদের সামিল করতেও। প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা তাজিক নেতা আবদুল্লা আবদুল্লা ইতিমধ্যেই কাবুলে বসে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও তালিবান নেতাদের সঙ্গে পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন। নতুন সরকারে তাঁর স্থান হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে, শিয়া ধর্মাবলম্বী হাজারা গোষ্ঠীর নেতা আব্দুল করিম খলিলি কাবুলের পতনের পর পাকিস্তানে ডেরা বেঁধেছেন। তাঁকেও নেওয়া হতে পারে সরকারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy