বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল ছবি
আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি এবং আমেরিকা নীতিকে নতুন করে গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী— কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বক্তৃতায় এই দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর আরও বক্তব্য, মোদীর আগে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক ছিল সন্দেহ এবং অবিশ্বাসে ঘেরা।
কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায়, টুইট এবং আলোচনায় এই বার্তাই বার বার দিতে চান যে ২০১৪ সালের পর থেকেই দেশের প্রগতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ব্যাপ্তি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক শিবির এটাও মনে করে যে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব থেকে গান্ধী, সুভাষচন্দ্র, বল্লভভাই পটেল– কংগ্রেসের সমস্ত আইকন ও ইতিহাসকেও নতুন প্রজন্মের কাছে নিজের করে দেখাতে চান মোদী। কংগ্রেসের অভিযোগ, শুধু নির্বাচনের ময়দানেই নয়, মানুষের স্মৃতি এবং ইতিহাস বোধ থেকে কংগ্রেসের নাম ও পতাকাকে সরিয়ে দিয়ে নিজের সিলমোহর বসাতে চান তিনি। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ মনে করে, সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ও বক্তৃতা কংগ্রেসকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই।
কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মাইলফলক হল দু’দেশের মধ্যে অসামরিক পরিমাণু চুক্তি এবং কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করা। ঘটনাচক্রে এই দু’টিই হয়েছে ইউপিএ জমানায় যখন সক্রিয় ভাবে কূটনৈতিক জগতে আমলা হিসাবে বিচরণ করছেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী জয়শঙ্কর।
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “আমেরিকার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করতে আগের সন্দেহ এবং আশঙ্কার বোঝাকে অনেক মেহনত করে সরাতে হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই করে উঠতে পেরেছেন। কোনও আদর্শের বোঝা তাঁর পিঠে ছিল না। কোনও বিশেষ বিশ্ববীক্ষায় তাঁর শিকড় গাড়াও ছিল না, যা থাকলে সাধারণ ভাবেই আমেরিকা থেকে দূরত্ব তৈরি হয়।”
স্পষ্টতই নাম না-করে জওহরলাল নেহরু এবং তার পরবর্তী কংগ্রেস শাসক দলের সোভিয়েতপন্থী নীতির কথাই উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর। তবে এখানে কূটনীতিবিদদের প্রশ্ন, প্রণব মুখোপাধ্যায় ইউপিএ সরকারের ‘নাম্বার-টু’ থাকাকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে আমেরিকা সফর করে সে দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে এসেছিলেন। যদিও তিনি সোভিয়েতপন্থী মননের রাজনীতিক বলে পরিচিত ছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে তো প্রকাশ্যেই আইএমএফ, আমেরিকার-র পথ অনুসরণ করা নেতা হিসাবেই দেখেছে বিশ্ব এবং ঘরোয়া রাজনৈতিক মহল। তাঁরই প্রবল চেষ্টায় দেশের মধ্যে রাজনৈতিক বাধা থাকা সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি আজ ইতিহাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy