জেনিভার সেই পোস্টার। ছবি: টুইটার থেকে
পাক সেনার বিরুদ্ধে ফের সরব সে দেশের সংখ্যালঘুরা। এ বার জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সভাকেই প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের দফতরের বাইরে সাঁটা হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা, ‘পাক সেনাই সমস্ত সন্ত্রাসের উৎস’।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের ৪৩ তম সভা শুরু হয়েছে। তা চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। আর সেখানেই চলছে পাক সেনার বিরুদ্ধে ওই প্রতিবাদ। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সেখানে পাক সেনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতেও নামছেন বালোচ ও পাশতুন গোষ্ঠীর মানুষ জন। পাকিস্তানের ওই সব এলাকায় সেনার ‘দমনপীড়ন’ বন্ধের দাবি তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সরব নয়াদিল্লি। সম্প্রতি প্যারিসে হয়ে যাওয়া পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’তেই রেখে দিয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। একই সঙ্গে এফএটিএফ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ইসলামাবাদ লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ না করলে, ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পাকিস্তানকে যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে তা আগামী জুনের মধ্যে পূরণ করতেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা।
আরও পড়ুন: লাইভ: শহিদ মিনারে একটু পরেই বলবেন অমিত, বাইরে বিক্ষোভ
আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর মৃত্যু কেরলবাসীর
সম্প্রতি ভারতীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বার বারই ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। কৌশলে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলির নজর কাড়তে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চলা নানা ধরনের আক্রমণের ঘটনা নিয়ে পাল্টা সরব হয়েছে নয়াদিল্লিও। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গোটা দুনিয়ার সামনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে ইমরান খানের প্রশাসন। কিন্তু তাতে ফের এক বার কাঁটা ছড়িয়ে দিলেন বালোচ ও পাশতুনরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy