—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’’ এ বার সেই স্লোগান শোনা গেল মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর মুখে। ভারত-মার্কিন বাণিজ্য কাউন্সিলের সম্মেলনে গত কাল তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। সেখানে মার্কিন বিদেশসচিব জানান, মোদীর বিপুল জয়ে তিনি বিস্মিত নন। কারণ, তিনি জানতেন আরও বেশি সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন মোদী।
ভারত সফরের জন্য ২৪ জুন আমেরিকা থেকে রওনা দেবেন পম্পেয়ো। তার আগে কাল ভারত-মার্কিন বাণিজ্য কাউন্সিলের সম্মেলনে পম্পেয়ো কী বলবেন সে দিকে নজর ছিল দিল্লির। পম্পেয়ো বলেন, ‘‘প্রচারে মোদী বলেছিলেন, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। আমাদের দু’দেশের সম্পর্কে পরিবর্তনের কী সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখতে আমি আগ্রহী।’’ প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের ‘নতুন ধরনের নেতা’ অ্যাখ্যা দিয়ে মার্কিন বিদেশসচিব বলেন, ‘‘ভারতের নির্বাচনী ফলে অনেকে অবাক। কিন্তু আমি হইনি। লোকসভা নির্বাচনকে আমার বিদেশ দফতর এবং আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। আমরা জানতাম, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে অন্য ধরনের নেতা।’’ পম্পেয়োর কথায়, ‘‘১৯৭১ সালের পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও প্রধানমন্ত্রী পুনরায় ক্ষমতায় ফেরেননি। মোদী এক জন চা বিক্রেতার ছেলে। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’
মার্কিন বিদেশসচিবের মোদী-প্রশংসার পিছনে কূটনীতি রয়েছে বলে মনে করছে সাউথ ব্লকের একাংশ। ওই অংশের মতে, ইরান থেকে তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারেও ট্রাম্প প্রশাসনের বিধিনিষেধ রয়েছে। ভারতের উপর থেকে ‘জেনারেইলাজড ট্রেডিং প্রেফারেন্স’-এর সুবিধে প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন। এই সব সিদ্ধান্তে চাপে মোদীর সরকার। সম্ভবত ক্ষোভে প্রলেপ দিতেই পম্পেয়োর এই মোদী-প্রশংসা। সাউথ ব্লকের ওই অংশটি আরও মনে করিয়ে দিচ্ছে, বিশকেকে সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকের ঠিক আগে এই মন্তব্য করেছেন পম্পেয়ো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy