মাস্ক পরিহিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।—ছবি এপি।
কোভিড সংক্রমণে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে ১ লাখ ২৮ হাজারই মার্কিন নাগরিক। অথচ সে নিয়ে ‘উদাসীন’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপ্তাহান্তটাও কাটালেন বিরোধী দলের ‘ষড়যন্ত্র’ কী ভাবে ভাঙবেন, সেই পরিকল্পনা করে। আসন্ন ভোটের জন্য একের পর এক সভা করছেন ট্রাম্প। মাস্ক ছাড়াই অবশ্য। সংক্রমণ থেকে তাঁকে রক্ষা করতে বিশেষ সচেতন তাঁর সহকারীরা। কিন্তু সমাবেশে যোগ দেওয়া রিপাবলিকান পার্টি সমর্থকদের নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন কেউ। পরিণতি— করোনা সংক্রমিত প্রেসিডেন্টের দলের কর্মীরাই। যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে মাস্কের উপকারিতা নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের দেখানো পথে হেঁটে টেক্সাস, ক্যালিফর্নিয়ার মতো প্রদেশগুলি ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজ চালু করে দিয়েছিল। কিন্তু এ বার তারা পিছু হটছে। টেক্সাসের পানশালাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফর্নিয়ার সাতটি শহরেও বার বন্ধ করা হয়েছে।
মার্কিন করোনা প্রতিরোধ দলের প্রধান অ্যান্টিনি ফাউচি বারবার সাবধান-বার্তা দিচ্ছেন। সেই একই কথা বললেন সরকারের হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস সেক্রেটারি অ্যালেক্স আজ়ার। এক ধাপ এগিয়ে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’’ অথচ শুক্রবার হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পরেও পেন্স দাবি করেন, করোনা-যুদ্ধে ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ হয়েছে আমেরিকার। যদিও ওই শুক্রবারই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার। শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪২ হাজার। তবে গত দু’মাসে কিছু বিষয়ে ‘উন্নতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যালেক্স-ও। যেমন, হাসপাতালের বেড বাড়ানো হয়েছে। আরও পিপিই-র ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষাও বাড়ানো হয়েছে।
গত কাল কিছুটা নরম শুনিয়েছে পেন্সকে। টেক্সাসে প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘‘পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে মাস্ক পরুন।’’ অথচ তাঁদের প্রেসিডেন্টই মাস্ক পরতে অস্বীকার করেছেন। যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘‘মাস্ক পরা ভাল। অভিজ্ঞতা বলছে, এতে সংক্রমণের গতি কমে।’’
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy