ছবি: সংগৃহীত।
হাজার হাজার ইঁদুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ার কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ। ক্ষেতের ফসল তো নষ্ট করছেই, ঘরবাড়িতেও ঘুরে বেড়াচ্ছে অংসখ্য ইঁদুর। দেখা দিয়েছে প্লেগের ভয়। নিউ সাউথ ওয়েলস-সহ অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কার্যত সঙ্কটে জনজীবন। সঙ্কট এতটাই গভীর যে, একে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যা দিয়েছে সরকার। অবশেষে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ভারত থেকে নিষিদ্ধ বিষ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ইঁদুর মারতে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রশাসন ভারত থেকে ‘ব্রোমাডিয়োলোন’ নামে এক বিষ ৫ হাজার লিটার আমদানি করবে বলে ঘোষণা করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এই বিষ নিষিদ্ধ হলেও নিরুপায় হয়েই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। যদি সে দেশের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনও এতে সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। তবে চলতি মাসে নিউ সাউথ ওয়েলসের কৃষিমন্ত্রী অ্যাডাম মার্শাল বলেছেন, “ইঁদুরের উপদ্রবে রাজ্যের কৃষিপ্রধান অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।” আগামী বসন্তের আগে এই উপদ্রব কমার লক্ষণ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গত মার্চ থেকেই হাসপাতাল, হোটেলে ইঁদুরের প্রভাবে হওয়া টাইফাস জ্বরের মতো রোগের বৃদ্ধি হয়েছে। ইঁদুরের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা প্রায়শই নিজেদের দুর্দশার কথা নেটমাধ্যমে জানাচ্ছেন। তাঁদের পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হাজারে হাজারে ইঁদুর ঘরের দেওয়ালে, ফ্যানের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে একে ‘ইঁদুর-বৃষ্টি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় বহু কৃষক জল চুবিয়ে অথবা বিষ দিয়ে ইঁদুর মারছেন। তবে ইঁদুর মারার বিষও কম পড়তে শুরু করেছে। বেগতিক দেখে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের জিঙ্ক ফসফাইডের মতো বিষের উৎপাদন দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে নিউ সাউথ ওয়েলস।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫ দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার পর গত কয়েক বছরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর জেরে ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। এতেই আকৃষ্ট হয়ে হয়তো ইঁদুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy