ফাইল চিত্র।
আড়েবহরে ইউরোপ জুড়ে নেটোর বাড়বৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাশিয়া। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও সে কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে নেটোর প্রভাব বৃদ্ধি ও তাদেরও রাশিয়া-বিরোধী সামরিক জোটে ঝোঁকার ইচ্ছাই যে যুদ্ধের অন্যতম বড় কারণ, তা-ও বলেছেন তিনি। কিন্তু এর পরেও মস্কোর যাবতীয় হুমকি উড়িয়ে নেটোয় যোগ দেওয়ার দিকেই এগোচ্ছে ইউরোপের দুই দেশ, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেন আজ ঘোষণা করল, এই দুই দেশকে যে কোনও পরিস্থিতিতে সামরিক সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত। সেই মর্মে সুইডেনের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা-চুক্তি সইও করে ফেলল ব্রিটেন। তাতে বলা হয়েছে, বিপদে-আপদে দুই দেশ একে অপরকে সাহায্য করবে।
কূটনীতিকদের বক্তব্য, ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চেহারা ক্রমশই বদলাচ্ছে। এক সময়ে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশ একত্রে নেটো গঠন করেছিল। সেই জোট আকারে বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে গিয়েছে। অতীতে সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত থাকা ইউক্রেনও নেটোয় যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সীমান্ত ঘেঁষা দেশের ‘শত্রু-জোট’-এ নাম লেখানোর অর্থ দোরগোড়ায় বিপদ। রাশিয়া তা মেনে নেয়নি। পরিণতি যুদ্ধ। কিন্তু এই যুদ্ধের পরিণতি হিসেবে নেটোয় এ বারে নাম লেখাতে চলেছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। নেটোর অন্তভূর্ক্ত হওয়ার অর্থ, গোষ্ঠীর কোনও একটি সদস্য দেশ আক্রান্ত হলেই, সব দেশ তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লড়বে। রাশিয়ার হুমকি, এই দুই দেশ নেটোয় গেলে পরিণতি আরও খারাপ হবে। সে ক্ষেত্রে, ইউরোপের স্থিতাবস্থা সঙ্কটে পড়তে পারে বলেও ভয় দেখিয়ে রেখেছে মস্কো।
আজ ব্রিটেনের ঘোষণাটি অবশ্য কিছুটা ভিন্ন। এটি একটি রাজনৈতিক ঘোষণা। এতে বলা হয়েছে, ব্রিটেন ও সুইডেনের যে কোনও একটি দেশ আক্রান্ত হলেই, দ্বিতীয় জন্য পাশে দাঁড়াবে। এ-ও জানানো হয়েছে, এটি কোনও সাময়িক সিদ্ধান্ত নয়। বরং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নেটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তার আগে ব্রিটেনের সঙ্গে এই ‘মৈত্রী’ রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নেটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন ও যোগ দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার মধ্যবর্তী সময়টি জটিল। এই সময়ে পশ্চিমি জোটের কোনও নিরাপত্তা কেউই পাবে না। ব্রিটেনের আজকের ঘোষণা সেই সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ। তার থেকেও বড় বিষয়, কোনও ভাবে যদি নেটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন খারিজ হয়ে যায়, তাতেও সুইডেনের পাশে থাকবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, নেটো নিয়ে সুইডেন যা-ই সিদ্ধান্ত নিক না কেন, তাঁরা পাশে থাকবেন।
সুইডেনকে সাহায্য ঘোষণার পরে আজ ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বরিস। আশা করা হচ্ছে, একই সাহায্য প্রদান করা হবে তাদেরও। কারণ, ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে আগেই এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy