চিঠিটা এমন ভাবেই শুরু হয়েছিল।
‘ডিয়ার হিজ রয়্যাল হাইনেস রানি এলিজাবেথ, আমি জানি আপনিই বিশ্বের সবচেয়ে ভাল রানি। আপনার মুকুট আর লাল ক্লোকটা খুব ভালবাসি। এটা অনেকটা সুপারহিরোর মতো...।’
চিঠির লেখক শান দুবের বয়স সবে চার। অন্য দিকে, যাঁকে সে চিঠি লিখেছে তাঁর বয়স ৯১।
ইংল্যান্ডের পশ্চিম মিডল্যান্ডের স্যান্ডওয়েলের বাসিন্দা ভারতীয় বংশদ্ভূত শান। মা বিলজিন্দর ও ভাই রোশনের সঙ্গে এখানেই থাকে সে। বাবা ওঙ্কার কোচ ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টরের কাজ করেন। কর্মসূত্রে তিনি বাইরে থাকেন। ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সে চিঠিটি লিখেছে। কিন্তু হঠাৎ রানিকে চিঠি লিখতে গেল কেন শান?
উদ্দেশ্য ছিল একটাই। নিজের চার বছরের জন্মদিনে প্রিয় রানিকে নিমন্ত্রণ করা। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ। শানের মা বিলজিন্দর জানালেন, এক দিন স্কুলের ইতিহাস ক্লাসে শান জানতে পেরেছিল রানি এলিজাবেথ দীর্ঘতম রাজত্ব করছেন। এর পর থেকেই রানি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে শানের।
আরও পড়ুন: মামুলি ভারতীয় কৃষক থেকে বুর্জ খলিফায় ২২ অ্যাপার্টমেন্টের মালিক!
রানির চিঠি হাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে শান
নিজের জন্মদিনে রানিকে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেয় শান। রানিকে স্যান্ডওয়েলে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি চিঠিতে শান লেখে, ‘আমি আপনার সঙ্গে ঘোড়া, বিমান আর গরিব শিশুদের নিয়েও কথা বলতে চাই।’
আগমী ২৫ জুন শানের জন্মদিন। ১৩ মার্চ বাকিংহাম প্যালেসের উদ্দেশে ওই চিঠি লেখে শান। জবাব আসে ৩ মে। কিন্তু রানির উত্তর দেখে ভেঙে পড়ে শান। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘রানি তাঁর ব্যস্ততার জন্য এই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারছেন না। তবে এই আমন্ত্রণপত্র পেয়ে তিনি খুবই আপ্লুত। তুমিও ঘোড়া ভালবাস জেনে খুশি হয়েছেন রানি এলিজাবেথ। তোমার জন্মদিন শুভ হোক।’’
রানি আসতে পারবেন না জেনে যারপরনাই দুঃখিত শান। তবে সংবাদ মাধ্যমে সে জানায়, ‘‘দুঃখ পেলেও রানি যে আমার চিঠিটা পড়েছেন, সেটা জেনেই খুশি হয়েছি। রানিকে খুব ভালবাসি। তাঁর কুকুর ও ঘোড়াগুলোও আমার খুব প্রিয়।’’
বাবা-মার সঙ্গে আগামী গরমে বাকিংহাম প্যালেসে যাওয়ার কথা রয়েছে শানের। তার আশা সেই সময় প্রিয় রানির সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা হবে তার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy